প্রশান্তের নজরে শহর শিলিগুড়ি

আপাতত গৌতমের জন্য শহরের ৩৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বাছাই হয়েছে। শিলিগুড়ির এই দু’টি ওয়ার্ডের বিধানসভা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০৫:১৪
Share:

ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র

এ বার তৃণমূলের টিম ‘পিকে’র টার্গেট শিলিগুড়ি শহর। দলীয় সূত্রের খবর, দু’দিন আগে একটি ফোন যায় দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেবের কাছে। বলা হয় প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁকে বলা হয়েছে গ্রামীণ এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জোর আনার পাশাপাশি শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা করে কাজ করতে হবে। দলের পাঁচজন সক্রিয় কর্মীর বাড়িতে ঘরোয়া সভা করতে হবে। একজনের বাড়িতে রাতে থাকার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভাব, সমস্যা বা অভিযোগ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।

Advertisement

আপাতত গৌতমের জন্য শহরের ৩৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বাছাই হয়েছে। শিলিগুড়ির এই দু’টি ওয়ার্ডের বিধানসভা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি। সম্প্রতি এনজেপি, সেবক রোড-দুইমাইলের মত এলাকাগুলোয় গেরুয়া শিবিরের সক্রিয়তা কিছুটা বেড়েছে। পুর এলাকার বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও একই কর্মসূচি হবে। অন্য নেতাদেরও একই কর্মসূচি পালন করতে হবে। পুজোর আগেই শহরের এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে কমবেশি থাকি। এখন তা নিয়ম করে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আরও ভালভাবে করা হবে। বিধানসভা এলাকাগুলোয় কর্মসূচি চলছে। এ বার শিলিগুড়ি শহরে হবে। আমি দু’টি ওয়ার্ড দিয়ে শুরু করছি।’’

পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে। ৪টি কংগ্রেসের, ২টি বিজেপির। বাকি ২২টি ওয়ার্ড বামেদের। এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা গিয়েছেন। তৃণমূলের জেতা ওয়ার্ডগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটায় বিজেপি জোরদার সংগঠন তৈরিতে নেমেছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বর্ধমান রোড, খালপাড়া, সেবক রোড, পাঞ্জাবিপাড়া, দুইমাইল, এনজেপি-সহ নানা এলাকায় রোজ বিজেপির কর্মসূচি চলছে। তাই জেতা ওয়ার্ডগুলোয় সংগঠন ধরে রাখার পরিকল্পনা হয়েছে তৃণমূলে। এরজন্য শুধু কাউন্সিলর বা ১-২ জন স্থানীয় নেতার উপর ভরসা না করে জেলা সভাপতি থেকে অন্য নেতাদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছ।

Advertisement

আবার বামেদের প্রভাব থাকা প্রধাননগর, মাল্লাগুড়ি, রবীন্দ্রনগর, চম্পাসারি, দুই মাইল, এনজেপি লাগোয়া এলাকাতেও বিজেপি’র মোকাবিলা করে তৃণমূলের সংগঠন ঠিকঠাক করতে বলা হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে বামেদের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার প্রবণতা ধরা পড়তেই তৃণমূল নেতারা চিন্তিত।

এ ছাড়াও নতুন মুখের নির্দেশ রয়েছে পিকে’র টিমের। দলের জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা জানান, আগামী বছর মে মাস নাগাদ শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার জন্য এখন থেকেই জনসংযোগ কর্মসূচি দিয়ে প্রস্ততি শুরু করতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement