রায় পরিবারের ছোট ছেলেরে সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের রাঙ্গালিবাজনা এলাকার এক তরুণীর চার বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই তরুণীর সঙ্গেই সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ের আয়োজন করে রায় পরিবার।
প্রতীকী ছবি।
ছোট ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে তোড়জোড় চলছিল জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির রায় পরিবারে। প্যান্ডেলও বাঁধা হয়ে গিয়েছিল। অতিথিরাও একে একে আসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু আচমকাই যেন সেই সমারোহের ছন্দপতন হল। বিয়ের আগেই পাত্রের হবু স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন তাঁরই দাদা। আর রায় পরিবারে দাদার এই ‘কীর্তি’ নিয়েই আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে ‘এ কী কাণ্ড! এ কী কাণ্ড’ রব ওঠে। ধূপগুড়ির ঝাড় আলতাগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢ্যাংকালীর রায় পরিবারের এই কাহিনিই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।
গত রবিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রায় পরিবারের ছোট ছেলের। কিন্তু তার ঠিক দু’দিন আগে বৃহস্পতিবার রায় পরিবারের বাড়িতে ফোন আসে বড় ছেলের। তিনি জানান, ভাইয়ের হবু স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। বড় ছেলের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়ে রায় পরিবারের সদস্যদের মাথায় যেন বজ্রপাত হয়েছিল। বড় ছেলে এমন কাণ্ড ঘটানোয় চার দিকে তখন ছিছিক্কার রব উঠতে শুরু করেছে। ছোট ভাই বলেন, “আমার সঙ্গে শেষমেশ এ ভাবে প্রতারণা করল দাদা! ভাবতেই পারছি না।” পাত্রের মা তো বড় ছেলের এমন কাণ্ডে মুষড়ে পড়েন। আক্ষেপ করে বলেন, “আমার বড় ছেলে এ ভাবে বিয়ে করল! এখন আমার ছোট ছেলেটার কী হবে?”
রায় পরিবারের ছোট ছেলেরে সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের রাঙ্গালিবাজনা এলাকার এক তরুণীর চার বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই তরুণীর সঙ্গেই সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ের আয়োজন করে রায় পরিবার। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সেই প্রেম কাহিনির মাঝে ঢুকে পড়েন পাত্রের দাদা। ভাই এবং তাঁর প্রেমিকার মধ্যে ঝামেলা হলে তা সমাধান করতেন তিনি। এ ভাবেই ধীরে ধীরে ভাইয়ের অগোচরে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দাদার। অন্য দিকে, ওই তরুণীর সঙ্গে ছোট ছেলের বিয়ের পাকা কথা ক্রমেই এগিয়ে চলে। শেষমেশ সামাজিক ভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তলে তলে যে সম্পর্কের স্রোত অন্য খাতে বয়ে গিয়েছে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি রায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু যখন পাকাপাকি ভাবে বিয়ের সমস্ত আয়োজন করে ফেলা হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে বড় ছেলের এমন কাণ্ডে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে গোটা রায় পরিবারের।