প্রতীকী ছবি
রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজো অনুদান কোন খাতে খরচ করা হবে তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের অনেকে নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর অবশ্য ওই পরিকল্পনা বদলের ভাবনা শুরু করেছেন তাঁরা। কোচবিহার শহর থেকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার একাধিক পুজো উদ্যোক্তারা এমনটাই বলছেন। আবার সমস্যার কথাও জানিয়েছেন একাধিক পুজো উদ্যোক্তারা। তবে সকলেই আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই বরাদ্দ খরচের কথাও জানিয়েছেন।
কোচবিহার শহরের নিউটাউন ইউনিট পুজো কমিটির কর্তা অভিষেক সিংহরায় বলেন, “মণ্ডপসজ্জার কাজে অনুদানের একটা বড় অংশ খরচের ভাবনাও ছিল। সেই পরিকল্পনা বদলে দেওয়া হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মেনে খরচ হবে।” শহরের শান্তিকুটির ক্লাবের পুজো কমিটির সদস্য রাকেশ চৌধুরী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে অনুদান খরচ হবে। আগের কিছু ভাবনা বদলেছি।”
তুফানগঞ্জের উত্তরপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির কর্তা তন্ময় দে বলেন, “সরকারি অনুদানের বড় অংশ মণ্ডপে খরচ করার ভাবনা ছিল। তবে এখন কোর্টের নির্দেশ মেনেই খরচ করা হবে। এতে একটু বাড়তি চাপ হল কোভিড পরিস্থিতিতে।” তুফানগঞ্জ দিগলাপাড়া পুজো কমিটির সম্পাদক রতন সিংহ বলেন, “অনুদানের টাকা পুজোয় খরচের পরিকল্পনা ছিল। এখন হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে খরচ হবে। তবে এবার তো সেভাবে চাঁদা উঠছে না। তাই একটু চাপও হবে।”
পরিকল্পনা বদলের কথা জানান চ্যাংরাবান্ধা জুনিয়র বেসিক সর্বজনীন পুজো কমিটির কর্তারাও। কমিটির উপদেষ্টা সুনির্মল গুহ জানান, সরকারি অনুদান দিয়ে মণ্ডপ, অন্যান্য খরচের পরিকল্পনা ছিল। তাই একটু সমস্যা হলেও করোনা মোকাবিলায় হাইকোর্টের পুরো নির্দেশ তাঁরা মেনে চলবেন। মেখলিগঞ্জ পশ্চিমপাড়া সর্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির সম্পাদক দিব্যায়ন সরকার জানান, এর আগে সরকারি অনুদান দিয়ে ঢাকি ও পুজোর খরচ চালানো হত। এবছরও সেরকমই পরিকল্পনা ছিল। তবে হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা আর্থিক সমস্যা তৈরি হল। তবে সেই নির্দেশ তারা মেনে চলবেন। দিনহাটা থানাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অলোক ঘোষ, জানিয়েছেন, নির্দেশ অনুযায়ী খরচ হবে। এতে পুজোর অন্য কিছু খরচ কাটছাঁট করতে হবে। মাঠাভাঙা উত্তরপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “ওই বরাদ্দ পুজোর খরচের ভাবনা ছিল। সমস্যা হলেও আদালতের নির্দেশ মান্যতা দিয়েই বরাদ্দ খরচ হবে।”
(প্রতিবেদক: অরিন্দম সাহা, সজল দে, সুমন মণ্ডল, উৎপল অধিকারী ও সঞ্জীব সরকার।)