স্ক্রাব টাইফাস মানছে না স্বাস্থ্য দফতর

স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েই যে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি

স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েই যে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত শুরু করেছে বলে দাবি কর্তাদের।

Advertisement

সোমবার জলপাইগুড়ির খড়িয়াতে মৃতদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন জলপাইগুড়ি জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) দেবাশিস সরকার এবং জলপাইগুড়ি সদর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়াজ আহমেদ। সেখানে তাঁদের কাছে পরিবারের তরফে দাবি জানান হয় যে দুই ভাইয়ের রোগের উপসর্গ একই ছিল।

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তা কাটাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া পঞ্চায়েতের ব্রহ্মত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ ওরফে উত্তম দাম (৪৮) এবং দোলন ওরফে লক্ষ্মী দামের (২৮) মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, স্ক্রাব টাইফাসেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। যদিও মৃত্যুর কারণ হিসেবে শিলিগুড়ির বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসকেরা ‘সেপ্টিসেমিয়া’ উল্লেখ করেছেন বলে পরিবার সূত্রের খবর। পরিবারের তরফে দীপক দাম বলেন, ‘‘দু’জনেরই একই ধরনের উপসর্গ ছিল। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সঠিক চিকিৎসা পাইনি। চিকিৎসকেরা মুখে স্ক্রাব টাইফাসের কথা বললেও লিখিত কিছু দেননি।’’

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, স্ক্রাব টাইফাসের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আমরা এখনও হাতে পাইনি। সেটা সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও শিলিগুড়ির যে নার্সিংহোমে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের কাছেও বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। মৃতদেহ কেন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল না তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা জরুরি ছিল বলে মনে করছেন ওই স্বাস্থ্যকর্তা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ রায় বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা সচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন। ব্লিচিং পাউডার ও মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে।’’ জলপাইগুড়ি জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রুদ্র কুমার ঈশ্বরারী জানান, এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement