ডিজিটাল রেশন কার্ড
ডিজিটাল রেশন কার্ড কোনও পরিচয়পত্র নয়। এই কার্ডের সঙ্গে এনআরসির কোনও যোগ নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি এবং প্রচারের পরেও রেশনকার্ড তৈরির কেন্দ্রগুলিতে বাসিন্দাদের হিড়িক পড়েছিল। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনের শেষ সময় ছিল। অনেক গ্রাহক এখনও আবেদন করতে পারেনি বলে অভিযোগ। ফলে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনের সময় বাড়ান হয়েছে বলে খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন বাড়ান হয়েছে বলে শনিবার উত্তরকন্যায় জানান খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল রেশন কার্ডের সুবিধা থেকে কোনও গ্রাহক বাদ যাবেন না। প্রত্যেক গরিবকে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, এনআরসি’র আতঙ্কে অনেকে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন জমা দিয়েছেন। ফলে আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। আবেদন গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ভিড় হয়েছে ব্যাপক। সেজন্য আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল পরিবারগুলিকে এক ধরনের নতুন রেশন কার্ড দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেকে সরকারি মূল্যে পণ্য সামগ্রী না চাইলেও তারা ডিজিটাল রেশন কার্ড চান। তাঁদের জন্য ১০ নম্বর ফর্মের নতুন এক ধরনের ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন চলছে। সেই কার্ড থেকে সহায়ক মূল্যে খাদ্য পাওয়া যাবে না। তবে তা পরিচয় পত্রও নয়। সরকারি বিক্রিয় কেন্দ্রগুলি থেকে সেই কার্ড দিয়ে গ্রাহকরা পণ্য সামগ্রী কিনতে ৬ শতাংশের পর্যন্ত ছাড় পাবেন। এরকম সাড়ে চার লক্ষ কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা না চাইলেও অনেকে একটি ডিজিটাল রেশন কার্ড চান। এধরনের প্রত্যেক আবেদন কারিকে ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া হবে।’’ খাদ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে ৩ নম্বর ফর্মে আবেদন করতে হয় গ্রাহকদের। রাজ্যে এরকম ৪০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। রেশনের সুবিধা পাওয়া একই পরিবারের কেউ রেশন কার্ড না পেলে ৪ নম্বর ফর্মে আবেদন করতে হয়। এমন ৩০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। নামের ভুল, ডিলার বদলানোর জন্য ৬ নম্বর ফর্মে আবেদন করতে হয় গ্রাহকদের। এমন ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এই বিশাল সংখ্যার রেশন কার্ডের আবেদনের কাজও দ্রুত শেষ হবে বলে খাদ্য মন্ত্রীর দাবি।
ডিসেম্বরের মধ্যেই যাতে সমস্ত আবেদন কারিকে ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া যায় তাও দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।