মায়ের সঙ্গে তাপস। নিজস্ব চিত্র।
কখনও কাঠফাটা রোদে, কখনও কনকনে শীতে ডায়না নদী থেকে ট্রাকে বালি-পাথর বোঝাই করে সংসার চালান বাবা। কোনও সময়ে এক নাগাড়ে কাজ থাকেও না। ফলে উপার্জন কোনও দিন দেড়শো তো কোনও দিন ৭৫ টাকা। বাবা পিন্টু রায়ের সেই কষ্টেরই মান রাখতে ছেলে তাপস হৃদয়পুর গ্রাম থেকে খানা-খন্দে ভরা কিছুটা গ্রামীন পাকা ও বেশির ভাগ কাঁচা রাস্তা দিয়ে ১০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে আসতেন। গ্রামের অনেকে বলেছিলেন, ‘এত কষ্ট করে কেউ পড়ে?’ এই দূর তো কোন ছার! দরকারে ২৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতেও তাঁর কোনও কষ্টই হতো না, জানান তিনি। এই একাগ্রতা ও জেদ সম্বল করেই এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুলে সবার উপরে ৪৩২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তাপস। স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করায় খুশি শিক্ষকেরাও। গ্রামে যাঁরা তাপসের পড়াশোনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, খুশি তাঁরাও। ঘরের সামনে মা’কে পাশে নিয়ে তাপস বলেন, “স্বপ্ন পূরণ করতে পিছিয়ে আসব না।’’