কামান: শিলিগুড়িতে মশা তাড়াতে। ছবি: স্বরূপ সরকার
ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্ক কাটছে না শিলিগুড়িবাসীর। প্রতিদিনই ওই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার ২৫৪ থেকে তা বেড়ে দাঁড়াল ২৬১ জন।
নতুন করে এই রোগে কোনও মৃত্যুর খবর না-থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য, দফতর, পুরসভা সকলেই। এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে বিশেষ করে প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবোরেটরি থেকে চটজলদি ডেঙ্গি রোগীদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট যাতে দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে চিকিৎসক, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস।
হাসপাতালে ম্যাকএলাইজা পরীক্ষা রিপোর্ট পেতে ৭ থেকে ১০ দিন লাগছে বলেও অভিযোগ উঠছে। অথচ স্বাস্থ্য আধিকারিকরাই জানিয়েছিলেন এক-দু’দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেওয়ার কথা। রিপোর্ট না পেয়ে অনেক রোগীকে বেশি দিন ভর্তি থাকতে হচ্ছে। তাতে রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই দ্রুত রিপোর্ট দিতে তৎপর হতে বলেন তিনি।
এ দিনও হাসপাতালে শ’দুয়েক রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ডেঙ্গি সন্দেহেই তাঁরা ভর্তি রয়েছেন। ইতিমধ্যেই শহরে চার জন এবং মাটিগাড়া এলাকায় এক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ৪, ৫, ১২, ১৫, ১৬, ২৯, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির দাপট বেশি। ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপরে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এক বাম কাউন্সিলরেরই অভিযোগ, বহুতলগুলিতে উঠে বাড়িতে ঢুকে বাসিন্দাদের মধ্যে সচতনতা প্রচার করার কথা। কিন্তু কর্মীদের একাংশ এখনও দায়সারা ভাবে ওই কাজ করছেন। বাড়ির ভিতরে ঢুকে কোথাও জল জমে আছে কি না, থাকলে জল ফেলে দেওয়ার কাজ করছেন না।
ডেঙ্গি পরিস্থিতির মধ্যেও পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মশা মারতে ধোঁয়া ছড়ানোর যন্ত্র মিলছে না বলে অভিয়োগ তোলেন এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু ঘোষ। পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত জানান, ধোঁয়া দেওয়ার ওই যন্ত্র দু’একদিনের মধ্যেই ঠিক করে দেওয়া হবে। এ দিন এলাকায় দুর্বার মহিলা সমিতির তরফে যৌনপল্লিতে সচেতনতা প্রচার অভিযান হয়।