ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নিকাশি নালার বাইরে স্প্রে করা চলছে আলিপুরদুয়ারে। —নিজস্ব চিত্র।
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেল আলিপুরদুয়ার শহরে। শুক্রবার নতুন করে শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন আরও দু’জন। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি, বাইরে থেকে শহরে আসা বাসিন্দাদের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভার শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তিন দিনে জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন সতেরো জন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৩ জন। মাদারিহাট ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি, ৮৯ জন। এ ছাড়া, ফালাকাটাতে ৪৮ জন ও আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে ৩৭ জন এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ দিকে, জেলায় গত তিন দিনে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন সতেরো জন। যাঁদের মধ্যে দু’জন আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দা।
চলতি বছর আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামীণ এলাকাতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও, এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ার শহরেও সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় চিন্তায় নানা মহল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নতুন দু’জনকে ধরে শেষ দুই সপ্তাহে আলিপুরদুয়ার শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন পাঁচ জন। যার জেরে, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত এই শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল দশ জন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার কর্তারা অবশ্য দাবি করছেন, আলিপুরদুয়ার শহরের যাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, কোনও না কোনও ভাবে বাইরে থেকে জেলায় ফেরার পরেই তাঁদের এই রোগ ধরা পড়েছে। শুক্রবার নতুন করে যে দু’জন শহরবাসীর শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে, তাঁরাও বাইরে থেকেই আলিপুরদুয়ারে ফিরেছিলেন।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার পুরপ্রধান প্রসেঞ্জিৎ কর বলেন, “নতুন করে শহরের যে দু’জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা রাজ্যের বাইরে থেকে আলিপুরদুয়ারের ফিরেছিলেন। তার পরেই তাঁদের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে যে বাসিন্দারা বাইরে থেকে আলিপুরদুয়ারে ফিরছেন, নিয়মিত তাঁদের খোঁজ-খবর রাখতে পুরসভার কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ডেঙ্গি প্রতিরোধে অন্যান্য সব কর্মসূচিই শহরে চলছে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার কর্তারা।