ইন্টারভিউয়ের মহড়ায় এক চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ নিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। শুক্রবার। মালদহের পুলিশ লাইনে। নিজস্ব চিত্র sendmail.abhijit@gmail.com
লাইন করে দাঁড়িয়ে যুবক-যুবতীরা। ‘স্ক্যানিংয়ের পর এক এক করে অফিসে ঢুকছেন তাঁরা। সে ঘরে ডিএসপির নেতৃত্বে রয়েছে চার জনের ‘ইন্টারভিউ বোর্ড’। শনিবার, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদের জন্য চাকরি প্রার্থীদের এমনই মহড়া ‘ইন্টারভিউ’ চলল মালদহে। তবে, এখানের ইন্টারভিউয়ে পাশ করলেই নিয়োগ হবে না। কারণ, চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়ে ভয় ভাঙাতেই এমন মহড়া ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়েছিল পুলিশ লাইনে। সে মহড়া ইন্টারভিউ দিতে মালদহের পাশাপাশি জেলার পুলিশ লাইনে ভিড় জমান দক্ষিণ দিনাজপুরেরও চাকরিপ্রার্থীরাও।
পুলিশের দাবি, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও হয়েছে। আগামী, ১৮ জানুয়ারি থেকে নিয়োগ নিয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাজ্য জুড়ে চার হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী ইন্টারভিউয়ে শামিল হবেন, দাবি পুলিশের। তাই, সেই ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া জেলার চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধার্থে এ দিন দুপুর থেকেই মহড়া ইন্টারভিড় হয় বলে জানান মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। তিনি বলেন, “রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল, এসআই পদের জন্য ইন্টারভিউয়ের মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। মহড়ায় শামিল হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধা হয়েছিল। এ বারও ইন্টারভিউয়ের মহড়া হয়েছে। মহড়ার ভাল সাড়া মিলেছে।” পুলিশের দাবি, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী মহড়াতে অংশ নেন। চার পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ইন্টারভিউ নেন মালদহের ডিএসএপি (আইন শৃঙ্খলা) আজাহারউদ্দিন খান। তিনি বলেন, “শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও ইন্টারভিউতে গিয়ে আটকে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের দুঃখ কতটা হয়, তা আমরা জানি। কারণ, আমরাও ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি। চাকরিপ্রার্থীরা যাতে নির্ভয়ে চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য ইন্টারভিউয়ের মহড়া দেওয়া হয়েছে।”
এক চাকরিপ্রার্থী মানিকচকের বাসিন্দা কস্তুরী পাণ্ডে বলেন, “সমাজ মাধ্যমে পুলিশের মহড়া ইন্টারভিউয়ের কথা শুনে হাজির হয়েছি। এ বারই প্রথম সরকারি কোনও পদের জন্য ইন্টারভিউতে বসব। তার আগে ইন্টারভিউয়ের মহড়া দিতে পেরে অনেকটাই সুবিধা হল।”