Dead body recovered

প্রার্থীর ভাইপোর দেহ রেললাইনে

পেশায় শ্রমিক হাবিব মোথাবাড়ি থানার শ্রীপুর-খানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর কাকা মেহতাব খান গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে হেরে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিয়াচক শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৫:৪২
Share:

কংগ্রেস প্রার্থীর ভাইপোর দেহ। নিজস্ব চিত্র

দিন সাতেক নিখোঁজ থাকার পরে, বৃহস্পতিবার রেল লাইনের ধার থেকে কংগ্রেসের পরাজিত প্রার্থীর নিখোঁজ ভাইপোর পচা-গলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এ দিন সকালে মালদহের কালিয়াচকের ১৭ গাছি গ্রামের রেল লাইনের ধার থেকে পুলিশ হাবিব খানের (২৩) দেহ পায়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুনের পরে রেল লাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।

Advertisement

পেশায় শ্রমিক হাবিব মোথাবাড়ি থানার শ্রীপুর-খানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর কাকা মেহতাব খান গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে হেরে যান। পরিবারের দাবি, ১৩ জুলাই বিকালে দোকানে চা খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন হাবিব। তার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ১৫ জুলাই পরিবারের লোকেরা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করেন। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারকে ফোনও করা হয়। এ দিন সকালে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠিয়েছে। পুলিশের দাবি, দেহটি চার থেকে পাঁচ দিনের পুরোনো হয়ে থাকতে পারে। দেহে পচন ধরেছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি পঞ্চায়েতের শ্রীপুর-খানপাড়া গ্রামের ১৩০ নম্বর বুথে নির্দলের (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বলে এলাকায় পরিচিত) কাছে হেরে যান মেহতাব। মেহতাবের দাবি, “ভাইপোর মুক্তিপণ হিসাবে ৩০ হাজার টাকা চেয়ে আমাদের ফোন করা হয়। পুলিশে সে নম্বর দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসার কারণে ভাইপোকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” তৃণমূলের মালদহের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। পুলিশ তদন্ত করছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement