দেখা: হাসপাতালের অস্থায়ী ও স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণকাজ পরিদর্শনে স্বাস্থ্য-কর্তা। ছবি: সন্দীপ পাল।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা কেমন চলছে, পড়ুয়ারা ঠিকঠাক ক্লাস করছেন কি না, এ সব নিয়ে বিশদে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। শনিবার হাসপাতালের অস্থায়ী ও স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন তিনি। কলেজ সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের একাংশ নিয়মিত ক্লাসে আসছেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের। প্রয়োজনে, অভিভাবকদের ডেকেও অভিযোগ জানানোর কথাও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এ দিন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেবের উপস্থিতিতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোথায়, কী অসুবিধা হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে চান বলে সূত্রের খবর। অ্যানাটমি বিভাগের জন্য এখনও পর্যন্ত দরকারি একটি পদে নিয়োগ না হওয়ায়, ওই বিভাগে হাতেকলমে পড়াশোনার কাজে যথেষ্টই অসুবিধে হচ্ছে বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। কলেজের ‘মেন্টর গ্রুপ’ নিয়েও খোঁজ নেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা। এই ‘গ্রুপ’-এর কাজে আরও বেশি জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, শীঘ্রই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সদস্যেরা কলেজ পরিদর্শনে আসবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশিকা মেনে যথাযথ ভাবে কলেজ পরিচালনার কাজে জোর দিতেও নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা। কলেজের সব বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক রয়েছেন কি না তা-ও জানতে চান তিনি।
আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই পড়ুয়াদের জন্য দু’টি স্থায়ী হস্টেল তৈরি করা খুবই জরুরি বলে কর্তৃপক্ষ জানান। এ ক্ষেত্রেও কাজে গতি বাড়াতে নির্দেশ দেন ওই অধিকর্তা। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিপরীতে মেডিক্যাল কলেজের জন্য নির্ধারিত জমিতে কলেজ হাসপাতালের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণকাজ ঘুরে দেখেন তিনি।
পরে, অধিকর্তা বলেন, ‘‘সরেজমিনে কলেজের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণকাজ ঘুরে দেখেছি। কাজ ঠিকঠাক মতোই চলছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের আগেই হস্টেল চালুর চেষ্টা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে মেন্টর গ্রুপ খুবই জরুরি। সে ক্ষেত্রেও যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’