গঙ্গায় কুমির। নিজস্ব চিত্র।
জিয়াগঞ্জের পর কুমিরের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের গোরাবাজারে ঘাটে। বুধবার সকালে ঘাটে ভাগীরথী নদীতে কুমির দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। কুমির দেখার বিষয়টি পাঁচকান হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার রাতে জিয়াগঞ্জের সদর ঘাটে কুমিরের দেখা মিলেছিল। বুধবারই আবার মালদহের কালিন্দ্রী নদীতে উদ্ধার হয়েছে একটি মৃত শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিন।
ঘাটে উপস্থিত স্থানীয়দের একাংশ গঙ্গায় কুমির দেখার দাবি করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, নৌকা করে মাছ ধরছিলেন মাঝিরা। সে সময়ই জালে আটকায় একটি বিশালাকার প্রাণী। সেটিকেই কুমির বলে দাবি করছেন তাঁরা। যদিও ধরা পড়ার পরই জাল ছিঁড়ে তা ফের জলে চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উদ্ধার হওয়া মৃত শুশুক। নিজস্ব চিত্র।
অন্য দিকে, কালিন্দ্রী নদীতে উদ্ধার হওয়া মৃত শুশুক দেখতে ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের মানিকচক এবং পুখুরিয়া থানার অন্তর্বর্তী কালিন্দ্রী নদীতে জেলেদের জালে ওঠে শুশুকটি। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় জেলেরা তা পাড়ে তুলতে সমর্থ হন। এই ধরনের প্রাণী ওই এলাকায় আগে দেখা যায়নি। স্বভাবতই শুশুক দেখতে ভিড় করেছিলেন এলাকাবাসী। পরে বন দফতরের লোকেরা এসে সেই মৃতদেহ নিয়ে যায়। ঘটনা নিয়ে বন দফতরের আধিকারিক প্রদীপ গোস্বামী বলেছেন, ‘‘এটা শুশুক (গাঙ্গেয় ডলফিন)। সাধারণত গঙ্গায় এদের দেখা যায়। এখানে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া গিয়েছে। তবে কালিন্দ্রী নদীতে শুশুক দেখতে পাওয়ার রেকর্ড খুব কম রয়েছে। কী ভাবে এখানে এল শুশুকটি, তা আমরা খতিয়ে দেখব।’’