রমেশ রায়। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্যে এক পরিযায়ী শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রহস্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। স্থানীয় গদেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের জমাদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা রমেশ রায় (৩৯) আট মাস আগে মহারাষ্ট্রের পুণেয় ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ঠিকাদার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে সেখানেই ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে পুণে থেকে রমেশের দাদা পরমেশকে ফোন করে মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, ঠিকাদারের অধীনে রেলের নির্মাণকাজের জন্য পুণে গিয়েছিলেন রমেশ। সেখানে রেললাইনের পাশেই ঘর করে শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সোমবার রাতে খাবার খাওয়ার পরে, তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্য কর্মীরা রাতভর রমেশের খোঁজ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় রেললাইন থেকে। এর পরেই ওই শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকাবাসীর একাংশের ক্ষোভ, গ্রামে কাজ মেলেনি বলেই অনেককে পরিযায়ী হিসেবে বাইরে কাজে গিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগে, অন্য কয়েকটি রাজ্যেও কাজ করেছেন রমেশ। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী এবং তিন মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাকি দুই মেয়ে স্কুলে পড়াশোনা করে। তাঁর দাদা পরমেশ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বিকেলে পুণে থেকে ফোন করে জানানো হয়, ট্রেনের ধাক্কায় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন। ওঁরা জানেন, ভাই অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি। মৃতদেহ ময়নাত-দন্তের পরে ধূপগুড়িতে আনা হচ্ছে।’’
ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘যে কোন মৃত্যুই দুঃখের। পরিবারের পাশে রয়েছি। তবে গ্রামে কাজ নেই, এটা ঠিক কথা নয়। অন্যান্য রাজ্যে যেমন আমাদের রাজ্যের লোক কাজ করতে যাচ্ছেন, ঠিক একই রকম ভাবে আমাদের রাজ্যে বাইরের রাজ্যের লোক কাজ করতে আসছেন।’’