সি ভি আনন্দ বোস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আচার্য তথা রাজ্যপালের সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ফের আশঙ্কার মেঘ দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ঘিরে। ৩ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘অফলাইন’ ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। তবে তা কোথায় হবে, তা প্রশ্নের মুখে।
দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে ২০২১ সাল থেকে। কিন্তু এখনও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবন না থাকায় ‘অফলাইন’ ক্লাস ছাত্রছাত্রীদের করানো যাচ্ছে না বলে দাবি। ‘অফ লাইন’ ক্লাস করার জন্য বালুরঘাট পুরসভার একটি ভবন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত ক্লাসঘর পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু করেনি পুরসভা। রাজ্যপাল-নিযুক্ত উপাচার্যের পাশে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা দাঁড়াচ্ছে না বলেই গুঞ্জন। অস্থায়ী উপাচার্য দেবব্রত মিত্র জানিয়েছেন, মাসিক ভাড়ায় পুরসভার একটি ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক কারণেই কি ক্লাসঘর পাচ্ছেন না ছাত্রছাত্রীরা?
বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্র অবশ্য রাজনৈতিক সমীকরণের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চয়ই ভবন দেব। কিন্তু কিছু প্রক্রিয়া থাকে। তা করতে কিছু সময় লাগছে।’’ বালুরঘাট পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ট্যাঙ্ক মোড়ের কাছে, পুরসভার একটি ভবন রয়েছে। তা সংস্কার করে ক্লাস করার উপযুক্ত করতে সময় লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ৩ অক্টোবরের মধ্যে ক্লাসঘর না পেলে ‘অফলাইন’ ক্লাস নেওয়া মুশকিল। বালুরঘাট গার্লস কলেজে একটি ক্লাসঘর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। দেবব্রত বলেন, ‘‘পুরসভা ছাড়াও সবার কাছে অনুরোধ করেছি। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে একটি ব্যবস্থা সময়ে হয়ে গেলে, ভাল হয়।’’