—প্রতীকী ছবি।
আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানার এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেল আবাসনের ভিতর থেকে ওই কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। শৌচাগারের ভিতরে বাথটবে পড়ে ছিল দেহটি। কী ভাবে ওই রেলকর্মীর মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি খুনের ঘটনা। স্থানীয় অনেকেরও তেমনই মত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ওমপ্রকাশ বাল্মীকি। স্থানীয় রেলকর্মীরা বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাথটবের মধ্যে দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাথা গোঁজা অবস্থায় ছিল। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা। ওই রেলকর্মীর গলায় থাকা সোনার চেন এবং মোবাইলের হদিস পাওয়া যায়নি। দেহের পাশে মিলেছে একটি আটা ভর্তি গামলা। মনে করা হচ্ছে, রাতে রুটি করবেন বলে আটা নিয়ে বসেছিলেন ওই রেলকর্মী। তার আগেই তাঁকে খুন করা হয়।
আশপাশের রেলকর্মীরা আরও জানান, ৪১/এ ঠিকানার রেল আবাসনে থাকতেন ওমপ্রকাশ। একাই থাকতেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশে দেশের বাড়িতে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেহ উদ্ধারের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ এবং আরপিএফ। পুলিশ ওমপ্রকাশকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাল্মীকি সমাজের প্রতিনিধিরা ঘটনাটিকে খুন বলে অভিহিত করেছেন। স্থানীয় বাল্মীকি সমাজের তরফে প্রদীপ বাল্মীকি বলেন, “উনি খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। কখনও কারও সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বলে শুনিনি। এটা খুনের ঘটনা। তাঁর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তা ছাড়া খুন করে সোনার হার, মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে। পুলিশকে বলব গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখে দোষীদের শাস্তি দিতে।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে ওমপ্রকাশ বাল্মিকীকে খুন করা হয়েছে, না অন্য কোনও ভাবে তিনি মারা গিয়েছেন। আমাদের তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।”