জমায়েত: মালদহ জেলা আদালতের কর্মচারীদের কর্মবিরতি। নিজস্ব চিত্র
কেউ সহকর্মীদের সঙ্গে কমনরুমে বসে নিজস্বী তুললেন, কেউ আবার ব্ল্যাকবোর্ডে ‘কর্মবিরতি’ লিখে ছড়ালেন সমাজ মাধ্যমে। মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে সোমবার, কর্মবিরতির প্রথম দিনে এমনই ছবি দেখা গেল মালদহ ও দুই দিনাজপুরে। সরকারি অফিসের পাশাপাশি কর্মবিরতির ছবি দেখা গিয়েছে স্কুল, কলেজেও। স্কুল, কলেজগুলিতে হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বিক্ষোভও দেখান আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।
যদিও এ দিন সরকারি দফতরগুলিতে কর্মীদের হাজিরা ১০০ শতাংশ ছিল, দাবি তিন জেলার প্রশাসনের কর্তাদের। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “এ দিন জেলা, ব্লক অফিসগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। কর্মীদের উপস্থিতিও ১০০ শতাংশ রয়েছে।” দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘উপস্থিতির হার অন্য দিনের তুলনায় আজ বেশি।’’
জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা কর্মবিরতির কথা মানতে না চাইলেও জেলায় জেলায় একাধিক ছবি দেখা গিয়েছে। এ দিন হবিবপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে ‘কর্মবিরতি’ লিখে ছবি তোলেন স্কুলের শিক্ষকেরা। এ ছাড়া, নিজস্বী তুলে সমাজ মাধ্যমে কর্মবিরতির ছবি ‘পোস্ট’ করেন রায়গঞ্জের একটি হাই স্কুলের এক শিক্ষিকা।
শুধু কর্মবিরতি করে স্কুল বা কলেজে বসে থাকা নয়, হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে আন্দোলনও করেন শিক্ষিক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীরা। এ দিন মালদহের এক কলেজের শিক্ষকেরা ‘ডিএ’ নিয়ে ছড়া বেঁধে স্লোগান তুলে কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘ডিএ’ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর প্রতিবাদ জানানোর কথা বললে, আইন দেখানো হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করা হবে, দাবি আন্দোলনকারীদের।
এ দিনের কর্মবিরতিতে প্রাথমিক, হাই স্কুলে পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, সরকারি অফিসগুলিতেও সপ্তাহের প্রথম দিনে কর্ম ব্যস্ততার ছবি দেখা যায় না।
এবিপিটিএর উত্তর দিনাজপুরের নেতা পার্থসারথি মিত্র বলেন, “এ দিন জেলার বিভিন্ন স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে হাজিরা দিলেও তাঁরা ক্লাস করাননি।” মালদহের তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসুর দাবি, “সরকারি কর্মচারীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। কেন্দ্রের বঞ্চনার পরেও বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের কথা রাজ্য সরকার ভেবেছে।”