প্রতীকী ছবি।
বুধবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আকাশ মেঘলা ছিল। দুপুরের পর থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের মতো জায়গায় শুরু হয়েছে ঝিরঝির বৃষ্টি। জোর হাওয়া ছিল কয়েক জায়গায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক জানান, ‘‘উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের জন্য পূর্বাভাসে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’ দার্জিলিং জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যেহেতু আমপান উত্তরবঙ্গে সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলছে না, তাই এখনও উত্তরবঙ্গের কোনও জায়গায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল নামানো হয়নি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ওই দু’টি সংস্থা নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে কাজ করছেন। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর অবধি দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। ত্রাণ শিবির চিহ্নিত রয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণও রয়েছে।
আমপানের প্রভাবে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আমপানের গতিপথ কতটা পরিবর্তন হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে প্রয়োজনীয় নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদেরও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া আছে।