জল-যন্ত্রণা: বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে মিলনপল্লি মেন রোডে। শনিবার। ছবি: বিনোদ দাস
সেবকে করোনেশন সেতুর ব্যবহার বন্ধ করে দ্রুত বিকল্প সেতু তৈরির দাবি নিয়ে এ বারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে চায় ডুয়ার্স ফোরাম। মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিতে চান সংগঠনের সদস্যরা। শিলিগুড়ির সঙ্গে ডুয়ার্সের সংযোগকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথটি গিয়েছে বর্ষ প্রাচীন করোনেশন সেতু দিয়ে। সেতুর হাল খারাপ, এই যুক্তিতে দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প সেতুর জন্য আন্দোলন চলছে। কিন্তু সেবকবাজার থেকে এলেনবাড়ি পর্যন্ত প্রস্তাবিত সেতুর পিলার ঠিক কোনখান দিয়ে যাবে, তা-ই ঠিক করতে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রক আলোচনা করছে। তা ঠিক না হলে রাজ্যের পূর্ত দফতর সেতুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করতে পারবে না বলেই দাবি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ, রেল এবং অন্যান্য দফতর নিয়ে তৈরি টাস্কফোর্সের সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও মেলেনি ছাড়পত্র।
তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সেই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করবেন ফোরামের সদস্যরা। ফোরামের অন্যতম কর্মকর্তা চন্দন রায় বলেন, ‘‘করোনার জন্য সব কিছু থেমে ছিল ঠিকই। কিন্তু এখনও জায়গা চিহ্নিত না হলে কবে সেতুর কাজ শুরু হবে? তাই আমরা চাইছি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তাঁর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানাতে।" এর আগেই বিজেপির সাংসদ থেকে শুরু করে তৃণমূলের মন্ত্রী, সবার কাছেই দাবিপত্র পেশ করেছেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, শনিবার উত্তরকন্যায় একটি আবেদন জমা করেছেন ফোরামের সদস্যরা। যদিও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও অনুমতি এখনও মেলেনি।
করোনেশন সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত যেমন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে, তেমনই সেবকবাজার থেকে এলেনবাড়ি পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা দুর্ঘটনা, ধসপ্রবণ হয়ে উঠেছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন শিলিগুড়ি এবং ডুয়ার্সের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এখন মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে যদি কাজে গতি আসে, বলছেন তাঁরা। করোনেশন সেতুর অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই ভাল নয়, দাবি স্থানীয়দের। কোনও কারণে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেলে বড় রকমের বিপাকে পড়বেন ডুয়ার্সের মানুষ। কারণ, তা হলে জলপাইগুড়ি শহরের পাশ দিয়ে ঘুরে আসা ছাড়া গতি থাকবে না। সেই পথের অবস্থাও ভাল নয়।