প্রতীকী ছবি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে সমঝোতা করে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল বাম ও কংগ্রেস। তারপরে জেলায় আর সেরকম কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দুই দলকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বুধবার আবার একসঙ্গে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। এ দিন সন্ধেয় জলপাইগুড়ি শহরের মাদ্রাসা মাঠ থেকে যৌথ মিছিল বের হয়। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই জলপাইগুড়ি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই ভোটে বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে নির্বাচন লড়বে কি না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও বাম ও কংগ্রেস শিবিরের দাবি, পুরসভা নির্বাচনের জন্য নয়। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই একসঙ্গে পথ চলা হচ্ছে।
জেলা বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছিল এ দিনের মিছিলে দুই নকশালপন্থী দলের নেতৃত্বরাও অংশ নেবেন । মিছিলের ফ্লেক্সেও এ দিন দুই নকশালপন্থী দলের নাম লেখা ছিল। তবে হাজির ছিলেন না সেই দলের কোনও নেতা-কর্মী। ওই দলের নেতা প্রদীপ গোস্বামী বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে এখনই পথে না নামা।’’ সূত্রের খবর, ফ্লেক্সে নাম লেখা নিয়েও ওই দলের তরফে বামফ্রন্টের কাছে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
এ দিন সন্ধেয় জলপাইগুড়ি মাদ্রাসা মাঠ থেকে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিল বের হয়। মিছিলে জলপাইগুড়ি জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য, জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার, সিপিএম নেতা জিতেন দাস, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা গোবিন্দ রায়, আরএসপি নেতা প্রকাশ রায়, সিপিআই নেতা রাহুল হোড়, কংগ্রেস নেতা অমিত ভট্টাচার্য, সুভাষ বক্সি, পিনাকী সেনগুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জলপাইগুড়ি জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য জানান, বৃহস্পতিবার জেলার সব ব্লকেই যৌথ কর্মসূচি হবে। তিনি বলেন, ‘‘এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নীতিগুলোর বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস একসঙ্গেই আন্দোলন করবে।’’
জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘২০২১ সাল পর্যন্ত আমরা বামফ্রন্টের সঙ্গেই যৌথ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকব।’’ উভয় পক্ষের তরফেই দাবি করা হয়েছে, এ দিনের মিছিলে কর্মীদের অংশগ্রহণ যথেষ্ট ভাল ছিল। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মিছিল কদমতলায় আসে। বাম ও কংগ্রেসের তরফে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করার দাবিতে এখানে প্রায় আধ ঘণ্টা পথ অবরোধ করা হয় বলে জানান নেতৃত্বরা।