গরু এবং পাচারকারী, দু’জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। —নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেল এক পাচারকারীর। পাশাপাশি গরুটিরও গায়ে একটি গুলি লাগে। অকুস্থলে সেটি লুটিয়ে পড়ে। শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট অঞ্চলের মুড়িখাওয়া এলাকার ঘটনা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গভীর রাতে বিএসএফের গুলিতে এক গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়। তবে অন্ধকারে গুলি লেগে একটি গরু মারা যায়। গুরুতর জখম হয়েছে আরও একটি গরু। শুক্রবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। উত্তেজনা প্রশমন করতে এখন গোটা গ্রামে ঘিরে রয়েছে বিএসএফ এবং পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ সীমান্ত এলাকায় গুলি চলার শব্দ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। সকালে জানা যায় পাচারের চেষ্টা করতে গিয়ে গুলিতে মারা গিয়েছে এক যুবক। তার পরিচয় এখনও মেলেনি। তবে পুলিশের একটি সূত্রের খবর, তিনটি গরু নিয়ে ওই যুবক ভারত থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেই সময় প্রহরারত বিএসএফ জওয়ান পর পর গুলি ছোড়ে। মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের কাছে একটি ওয়ানশাটার বন্দুকও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সামসুল হক বলেন, ‘‘আমাদের ওই গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। মনে হয়, মুড়িখাওয়া গ্রামের বা আশপাশের এলাকার ছেলে। তবে রাতে গোলাগুলির শব্দে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা তদন্তের মুখে পড়েছেন। অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে অনেকে প্রভাবশালীর। অন্য দিকে, বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিএসএফের পাহারা এড়িয়ে কী ভাবে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হয়? এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত।