ধূপগুড়ি পৌরসভা এবং ধূপগুড়ি থানার পুলিশ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেয় বুধবার সকাল থেকে। নিজস্ব চিত্র ।
সাদা ব্যাগের ভিতরে চাল, ডাল, আলু, মুড়ি, তেল, বিস্কুটের প্যাকেট। এমনকি বেশ কয়েকটি মাস্ক-ও। ব্যাগের বাইরে কাগজের স্টিকারে লেখা শুভেচ্ছা বার্তা—আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। বুধবার সকাল থেকে এ রকমই ব্যাগ করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁদের দোরগোরায় পৌঁছে দিয়ে এল ধূপগুড়ি পৌরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন।
করোনা আক্রান্ত দুঃস্থ রোগীরা যাতে অভুক্ত না থাকেন, সে জন্য তাঁদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনগুলিকে। এমনকি রাজ্য পুলিশও এই কাজে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছিল নবান্ন। রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পৌরসভা এবং ধূপগুড়ি থানার পুলিশ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেয় বুধবার সকাল থেকে।
গত ২৪ ঘন্টায় পাঁচ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ধুপগুড়ি শহরে। বুধবার সকালেবেলা ধুপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা, উপপুরপ্রধান রাজেশ কুমার সিংহ, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গৌতম বসাক এলাকার দুঃস্থ করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, আলু,তেল-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন। পুরসভা সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন, ১৫ নং ওয়ার্ডে দু’জন এবং ১৬ নং ওয়ার্ডে এক জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। আইসি জানিয়েছেন, আগামী দিনে দুঃস্থ রোগীদের খবর পেলেই আবারও খাবার নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হাজির হবেন তাঁরা।