সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে কলকাতায়। ছবি: পিটিআই।
মাত্র সাত দিনে কলকাতা শহরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার পৌঁছে গেল ৪৪.৫ শতাংশে। পাশের জেলার হাওড়াতেও দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেখানে সংক্রমণের হার গত এক সপ্তাহে ৩০.১৪ পৌঁছেছে শতাংশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া ২৯ ডিসেম্বর-৪ জানুয়ারির সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলে। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী, কলকাতায় প্রতি ১০০ জনের করোনা পরীক্ষায় প্রায় ৪৫ জনেরই রিপোর্ট পজিটিভ আসছে।
এর আগে ২০২১-এর শেষ সপ্তাহের (২৫-৩১ ডিসেম্বর) করোনা পরীক্ষার পরিসংখ্যান পেশ করেছিল কেন্দ্র। সেই রিপোর্টে কলকাতায় সংক্রমণের হার ছিল ২৩.৪২ শতাংশ। হাওড়ায় ১০.৭৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, সে সময় সারা দেশে সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলা সংক্রমণের হারের নিরিখে কলকাতা থেকে ১ শতাংশ এগিয়ে ছিল।
২৯ ডিসেম্বর-৪ জানুয়ারির সংক্রমণের হারের পরিসংখ্যানে কলকাতাকে আরও পিছনে ফেলেছে লাহুল-স্পিতি। সেখানে এখন সংক্রমণের হার ৬৬.৬৭ শতাংশ। যদিও এখনও কলকাতা দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে। রিপোর্ট বলছে, কলকাতা-হাওড়ার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গের আরও অনেক জেলাও উঠে এসেেছে দ্রুত গতিতে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২৫-৩১ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যানে পশ্চিমবঙ্গের শুধু মাত্র ওই দু’টি জেলাতেই (কলকাতা এবং হাওড়া) সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশ বা তার বেশি। ২৯ ডিসেম্বর-৪ জানুয়ারির সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে আরও চারটি জেলা চলে এসেছে সেই তালিকায়— পশ্চিম বর্ধমান (১৬.৪১ শতাংশ), উত্তর ২৪ পরগনা (১৪.৭৭ শতাংশ), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৩.২০ শতাংশ) এবং বীরভূম (১০.৬১ শতাংশ)।
কলকাতায় সংক্রমণের হারের এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রনের কিছুটা ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের একাংশ। করোনাভাইরাসের আর এক রূপ ডেল্টার ‘আর ভ্যালু’ (রিপ্রোডাক্টিভ রেট। অর্থাৎ, একজনের থেকে ভাইরাস কতজনের দেহে ছড়াতে পারে, তার সম্ভাব্য সংখ্যা) ছিল ১.৩। সেখানে ওমিক্রনের ‘আর ভ্যালু’ ২.৮ থেকে ৩ পর্যন্ত হতে পারে। ওমিক্রন য়ে ডেল্টার তুলনায় বেশি ছোঁয়াচে, তা এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট।