যোদ্ধা: বুধবার করোনা প্রতিষেধক নিচ্ছেন দার্জিলিং জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকর। ছবি: স্বরূপ সরকার।
করোনার প্রতিষেধক নিলেন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার, জেলাশাসকের দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনের একাংশ। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের পর এ বার দার্জিলিং জেলায় প্রশাসনের আধিকারিক-কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হল। বুধবার শিলিগুড়ির সেবক রোডে জ্যোতিনগর এলাকায় একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রতিষেধক কেন্দ্রে প্রশাসন এবং পুলিশের মতো করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করা হয়।
মঙ্গলবার থেকেই এটা দেওয়া হবে বলে কথা ছিল। কিন্তু অ্যাপ বিভ্রাটের জেরে তা সম্ভব হয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘প্রশাসনের আধিকারিক, পুলিশ আধিকারিক-কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দার্জিলিঙের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুশান্ত সহায় প্রথম প্রতিষেধক নেন। পরে দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকার প্রতিষেধক নিয়েছেন। জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহদের এ দিন প্রতিষেধক নেওয়ার কথা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির জেরে তাঁরা এ দিন নেননি। পুলিশের বিভিন্ন থানার আইসি, ওসিদের অনেকে প্রতিষেধক নিতে এসেছিলেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক, কর্মীরা ২৬ জন প্রতিষেধক নিয়েছেন। তার মধ্যে পুলিশের আধিকারিক-কর্মী ছিলেন ১১ জন। তবে ট্রেজারিতে কর্মরত বয়স্ক এক মহিলা প্রতিষেধক দিতে গেলে তার একাধিক কো-মর্বিডিটি রয়েছে দেখে দেওয়া হয়নি। পরে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে, শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে তাঁকে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের সঙ্গে এ দিন সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এসে পৌঁছেছে ‘কোভ্যাকসিন’-ও। তবে শুধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষেধক কেন্দ্র থেকেই এই প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান গৌতম ধর জানান, রাজ্যের তরফে পাঠানো কোভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। দেড় হাজারের মতো কোভ্যাকসিনে ডোজ় এসেছে। কোভ্যাকসিন পৌঁছেছে কালিম্পঙেও। সেখানে পাঠানো হয়েছে ৬৪০ ডোজ়ের কোভ্যাকসিন।