Pradhan Mantri Awas Yojana

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেতে পরিত্যক্ত বাড়ির এক কোণে বৃদ্ধ দম্পতি!

ঘরের ভিতরটা একবার দেখেই আধিকারিকেরা বুঝতে পারেন, সেটি পরিত্যক্ত। এক কোণে মাদুর পেতে বসে রয়েছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। যে বৃদ্ধের আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

আবাস যোজনার ঘরের জন্য ‘রি-ভেরিফিকেশনের’ কাজে বেরিয়েছেন এক দল সরকারি আধিকারিক। তালিকা হাতে নির্দিষ্ট একটি বাড়িতে পৌঁছেও গেলেন তাঁরা। যেখানে দিব্যি রয়েছে পাকা বাড়ি। এ বার উপভোক্তার খোঁজ করতেই পাকা ঘর থেকে পাশে একটি ভাঙা বেড়ার ঘর দেখিয়ে ছেলে জানালেন, ওখানেই তাঁর বাবা (উপভোক্তা) থাকেন। সে ঘরে উঁকি দিতেই কপালে ভাঁজ আধিকারিকদের।

Advertisement

ঘরের ভিতরটা একবার দেখেই আধিকারিকেরা বুঝতে পারেন, সেটি পরিত্যক্ত। এক কোণে মাদুর পেতে বসে রয়েছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। যে বৃদ্ধের আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার কথা। অথচ, দম্পতির পোশাক-সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের কোনও জিনিস ভাঙা ঘরটিতে নেই। তত ক্ষণে পাকা ঘর থেকে সেখানে চলে এসেছেন বৃদ্ধের ছেলে। তিনি দাবি করেন, অনেক দিন আগেই বাবা-মা তাঁর থেকে আলাদা হয়ে যান। পরে পাকা ঘরটি তিনি তৈরি করেছেন। বাবা-মাবেড়ার ঘরে থাকছেন। আবাস যোজনায় বাবা যাতে সরকারি ঘরটি পেয়ে যান, আধিকারিকদের সে অনুরোধও করলেন ছেলে। কিন্তু বৃদ্ধের কাছে সরকারি কিছু নথি চাইতেই ফের ধাক্কা খেলেন আধিকারিকেরা। নথি আনতে বৃদ্ধ ছুটলেন ‘ছেলের পাকা ঘরে’।

ওই আধিকারিকদের এক জন জানাচ্ছেন, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার একটি ঘর পেতে আলিপুরদুয়ার জেলার বেশ কিছু জায়গায় সন্তানদের একাংশের মধ্যে বাবা-মা-কে আলাদা দেখানোর ‘কৌশল’ নিতে দেখা যাচ্ছে। অথচ, স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা এক সঙ্গেই থাকেন। তালিকায় নাম ওঠানোর সময়ে হয়তো পাকা ঘর ছিল না। গত কয়েক বছরে তা করে ফেলেছেন। তা সত্ত্বেও এখন পাকা ঘর চাই। কিন্তু সরকারি নিয়মে তা সম্ভব নয়। তাই এই কৌশল। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস যোজনায় প্রথম দফায় প্রায় দেড় লক্ষ বাড়ির ‘ভেরিফিকেশন’ হয়। যেখান থেকে বাদ পড়ে প্রায় সাড়ে উনিশ হাজার নাম। তার পরেও ব্লক অফিসগুলিতে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ে। যার ভিত্তিতে ‘রি-ভেরিফিকশন’ করতে নামেন আধিকারিকেরা। জেলার বিভিন্ন ব্লকে যে কাজ এই মুহূর্তে চলছে। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “এ ভাবে কখনই ঘর পাওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃত দাবিদারেরা যাতে বঞ্চিত না হন, সেটা দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement