Coronavirus

সীমান্ত বন্ধ, ট্রাক কর্মীদের ভোগান্তি

সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশ ও নেপালে পণ্য পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সকলেই সমস্যায় পড়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৭:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি

ট্রাক চালানোর রোজগারে চলত চারজনের সংসার। কিন্তু লকডাউনের জেরে ট্রাক বন্ধ হওয়ায় হচ্ছে না রোজগারও। এই অবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে মাটিগাড়ার খাপড়াইল মোড়ের বাসিন্দা তন্ময় দাসের। সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য ব্যবহৃত ট্রাক চালাতেন তিনি। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকি। ভাড়া দেব কী, খাবারের টাকাও নেই। স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে খাবারের জন্য ত্রাণ শিবিরে যেতে হচ্ছে।’’ একই পরিস্থিতি অন্যান্য ট্রাক চালক ও ট্রাককর্মীদের। তন্ময় বলেন, ‘‘সীমান্ত বাণিজ্য খোলা প্রয়োজন। প্রশাসন নিয়ম করে ট্রাকগুলি চলতে দিলে আমার বাঁচতে পারব।’’

Advertisement

সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশ ও নেপালে পণ্য পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। ফেডারেশন অব ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দার্জিলিং জেলা শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ির ২১০০টি ট্রাক বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্তে পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত। তার মধ্যে ফুলবাড়ি দিয়ে ১৭০০টি ট্রাক বাংলাদেশে ও পানিট্যাঙ্কি দিয়ে পাঁচশোরও বেশি ট্রাক নেপালে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৩ হাজারের মতো চালক-কর্মী। তাঁদের অনেকেই শিলিগুড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। এখন কাজ বন্ধ থাকায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে সাধারণত বালি-পাথর বাংলাদেশে যায়। বালি-পাথর তোলার কাজে কয়েক হাজার শ্রমিক জড়িত। পানিট্যাঙ্কি দিয়ে আনাজ ও আরও নানা পণ্য যায়। তাই সীমান্ত খুললে ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে চাষিরাও উপকৃত হবেন বলে দাবি। ট্রাক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজু সাহা বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে ট্রাক চালানোর অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। তাতে অন্তত ৩০ শতাংশ গাড়ির মালিক এবং চালক, কর্মীরা কিছুটা উপকৃত হবেন।’’

Advertisement

সীমান্ত বাণিজ্য খোলার আশায় রয়েছে রফতানিকারকরাও। উত্তরবঙ্গ এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রূপম ঘোষ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার শর্ত সাপেক্ষ সীমান্ত বাণিজ্য চালুর নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে বহির্বাণিজ্য চালু করার বিষয়টি প্রশাসনের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। তাঁরাই ভাল বুঝবেন।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গত শনিবার ফুলবাড়ি সীমান্তে গিয়েছিলেন। তাঁরা পানিট্যাঙ্কি এবং ফুলবাড়ি সীমান্তের বহির্বাণিজ্য বন্ধ কেন সে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ফুলবাড়ি এবং পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের কাছে জনবসতি রয়েছে। বাণিজ্য চালু হলে ভিন্‌ রাজ্যের গাড়ি আসতে পারে। সেটাই ভাবাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement