Coronavirus

বহু বছর পর এ বার তোর্সায় দেখা মিলল শুশুকের, স্মৃতিতে ডুব কোচবিহারের কালীঘাটের

তোর্সার শুশুক নিয়ে সমীক্ষা করা একটি সংস্থার সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “নদী দূষণ কমেছে। তাতেও নিরাপদ কলোনি ছেড়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শুশুকের দল উজানমুখী হয়েছে। আমি নিজেও একাধিক শুশুক এক ঝলক দেখেওছি।”

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৬:৩৪
Share:

তোর্সায় ফের দেখা মিলছে শুশুকের। কোচবিহারের কালীঘাট অঞ্চলের তোর্সা ঘাট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের এমনই দাবি। বাসিন্দাদের কয়েকজন জানাচ্ছেন, সকালে নদীর বুকে মাঝেমধ্যেই ভেসে উঠছে শুশুক। কখনও কখনও পরপর একাধিক শুশুকের দেখাও মিলছে। তাদের চাক্ষুষ করতে সকাল হলেই স্থানীয়দের অনেকে নদীর পাড়ে ভিড় করছেন এখন। প্রবীণদের কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে প্রতিদিন শুশুক দেখা যেত তোর্সায়।

Advertisement

কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা রতন সরকার বলেন, “এভাবে বহু বছর বাদে তোর্সায় শুশুকের দেখা মিলল। আমি নিজেও বৃহস্পতিবার কয়েকটি শুশুক দেখেছি। অনেকেই দেখেছেন।” শহরের বাসিন্দা প্রবীণ নৃপেন পাল বলেন, “তোর্সায় শুশুক দেখাটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। ষাটের দশকে বন্যার সময় অনেক বেশি শুশুক দেখা গিয়েছিল।”

পরিবেশপ্রেমীরাও গোটা বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তোর্সার শুশুক নিয়ে সমীক্ষা করা একটি সংস্থার সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “নদী দূষণ কমেছে। তাতেও নিরাপদ কলোনি ছেড়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শুশুকের দল উজানমুখী হয়েছে। আমি নিজেও একাধিক শুশুক এক ঝলক দেখেওছি।”

Advertisement

একসময় মাংস ও তেলের লোভে শুশুক শিকারের প্রবণতা ছিল এই অঞ্চলে। ফলে একসময় তোর্সায় শুশুকের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। অন্য একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থার এক কর্তা অমিত চন্দ বলেন, জয়গাঁ, হাসিমারা, সাঁতালি, পুন্ডিবাড়ি, ফাঁসিরঘাট, বলরামপুর, বালাভূত এলাকা জুড়ে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করা দরকার। তা হলে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সংরক্ষণে সুবিধে হবে।”

কোচবিহারের ডিএফও বিমান বিশ্বাস বলেন, “ফের তোর্সায় শুশুক দেখা যাচ্ছে বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি নজর রাখছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement