তরজা: ব্যবসায়ীকে দোকান বন্ধ করতে নির্দেশ পুলিশের। বালুরঘাটে। ছবি: অমিত মোহান্ত
লকডাউনের মধ্যেও শনিবার থেকে শর্ত মেনে আরও কিছু দোকান খোলা যাবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক নির্দেশিকা ঘিরে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার ব্যবসায়ীরা ধন্দে পড়েন। দোকান খোলা নিয়ে বালুরঘাটে কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের টানাপড়েনে উত্তেজনা দেখা দেয়। তিন জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, এ দিন থেকে ছোট দোকান ও সেলুন খোলার বিষয়ে তাদের কাছে কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতিতে কাপড়, মনিহারি দোকান খুলেছিলেন কয়েক জন ব্যবসায়ী। কিন্তু পুলিশ গিয়ে সেই সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসকের দফতরের কাছে দোকান খোলা রাখার বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও নির্দেশ পৌঁছয়নি বলে জেলাশাসক জানান।’’ সোমবার জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দেখা করবেন বলে জয়ন্ত জানান।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ছবিটাও ছিল প্রায় এক। এ দিন শহরের সুদর্শনপুর থেকে কসবা ও জেলখানা মোড় পর্যন্ত মুদি, ওষুধের দোকান ও আনাজের দোকান খোলা ছিল। তার সঙ্গে অন্য দোকানও খোলার চেষ্টা হয়। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে শহর জুড়ে মাইকে ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের লকডাউন মেনে চলতে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এ দিন সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানের সাটার অর্ধেক খোলা রেখে গোপনে বিভিন্ন সেলুনে বাসিন্দাদের চুল ও দাড়ি কাটা হচ্ছিল। পুলিশ সক্রিয় হতেই ধরপাকড়ের ভয়ে সেই সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের নিউমার্কেট থেকে সাধনা মোড় হয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দিন সকালে কয়েকটি ছোট কাপড়ের দোকান, মনিহারি ও সেলুন খোলা হতেই পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে রাস্তায় নামে। ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শহরের মনিহারি ও কাপড়ের ব্যবসায়ী প্রকাশ রায় ও বিপুল আগরওয়াল বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই নির্দেশের বিষয়টি খবরে দেখেছি। তাতে শপিংমল বাদে ছোট দোকানপাট এ দিন থেকে খোলা যাবে বলে জানানো হয়। তাই দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু পুলিশের ধমক শুনতে হল।’’
বালুরঘাটের মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুকোপাধ্যায় জানান, তাঁদের কাছে রাজ্য সরকারের তরফে ছোট দোকান খোলার বিষয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি।