আটকে: এ ভাবেই পুলিশ ব্যারিকেডে ‘আটক’ সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
হিলি সীমান্তে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে আটকেছে— সেই অভিযোগে ঘণ্টাপাঁচেক বালুরঘাটের রাস্তায় অবস্থানে বসলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ওই ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার দিনভর জেলায় প্রশাসন ও বিজেপির মধ্যে টানাপড়েন চলল। পাল্টা প্রতিবাদে নামে তৃণমূল। এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশও জানানো হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ লকডাউন ভাঙার অভিযোগ তুলে বিজেপি সাংসদ সুকান্তকে ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার নির্দেশ দেন সদর মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তার আগে জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে সাংসদ সুকান্তর বিরুদ্ধে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ নিয়ে লিখিত রিপোর্ট দেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সুকান্তকে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মহকুমাশাসক জানান, প্রশাসনিক কোনও অনুমতি ছাড়াই সাংসদ ৮-১০ জন সঙ্গীকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে লকডাউন ভেঙেছেন। তাই তাঁকে আগামী ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকতে বলা হয়েছে। সুকান্তের বক্তব্য, তিনি ২৩ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে বাগডোগরা হয়ে বালুরঘাটে ফিরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়ে ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ ছিলেন।
বুধবার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ অর্পিতা ঘোষ হিলি সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারের বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিলি করেন। এ দিনও কুমারগঞ্জ সীমান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিলি করেন অর্পিতা। সেই উদাহরণ টেনে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, অর্পিতা কয়েকটি গাড়ির কনভয় ও দলবল নিয়ে হিলি ও কুমারগঞ্জ সীমান্তে গেলে লকডাউন ভাঙা হয় না। এ দিন দেহরক্ষী, গাড়ির চালক এবং তিনি মিলে মাত্র ৩ জন ছিলেন। পুলিশ ও মহকুমাশাসক তাঁর বিরুদ্ধে ৮-১০ জন কর্মী নিয়ে জমায়েতের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন বলে সুকান্ত দাবি করেন। দিনভর তাঁকে রাস্তায় ব্যারিকেড ঘিরে আটকে রাখার অভিযোগে সুকান্ত জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজভবন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নালিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ শহরের মঙ্গলপুর এলাকায় হিলি সড়কে বিজেপি সাংসদের গাড়ি থামানো হয়। ডিএসপি ধীমান মিত্র দাবি করেন, সাংসদের হিলি সীমান্তে যাওয়ার প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না।
এ নিয়ে অর্পিতা বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় যেতে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়ে অনুমতি পাই। আমার কাছে সেই অনুমতিপত্র রয়েছে। বিনা অনুমতিতে এখন সীমান্ত এলাকায় ঘোরার নিয়ম নেই। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তিনি সীমান্ত এলাকায় যেতেই পারেন।’’