ফেরা: প্রথম ট্রেন থেকে নামলেন ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিকের দল। রায়গঞ্জ রেল স্টেশনে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস
আসার কথা ছিল ৭০ জনের। এলেন ১১ জন। বাকিরা কোথায় গেলেন? শুক্রবার দিনভর সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। এ দিন উত্তরপ্রদেশের দানকর স্টেশন থেকে রায়গঞ্জ স্টেশনে আসে দু’টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। তার মধ্যে প্রথম ট্রেনটিতে জেলার বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা ৭০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের আসার কথা ছিল। কিন্তু এসে পৌঁছন রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন পঞ্চায়েতের ১১ জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে তিন জন শিশু। বাকি ৮ জন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। দ্বিতীয় ট্রেনটিতে অবশ্য আগাম তথ্য অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন ব্লকের ৮৭ জন শ্রমিকই ফেরেন। প্রশাসনের দাবি, প্রথম ট্রেনে বাকি যে ৫৯ জনের আসার কথা ছিল, তাঁরাও উত্তরপ্রদেশেই কাজ করতেন।
প্রথম ট্রেনে যে ১১ জন ফিরেছেন তাঁদের দাবি, স্টেশনে ঢোকার আগে বেশির ভাগ শ্রমিক চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন। এ দিকে, শ্রমিক ও তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জেলার যুগ্ম শ্রম অধিকর্তা সোমনাথ রায়ের বক্তব্য, ‘‘কেন প্রথম ট্রেনে কম শ্রমিক ফিরলেন, তা বলতে পারব না। তবে ফেরত আসা কয়েক জনের দাবি, সরকারি কোয়রান্টিনে যাওয়ার ভয়ে অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে গিয়েছেন।’’
এ দিকে দু’টি ট্রেনে উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা রায়গঞ্জ স্টেশনে নামার পরে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো উচিত ছিল স্বাস্থ্য দফতরের, এমন দাবি উঠছে বাসিন্দাদের মধ্যে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁদের সরকারি কোয়রান্টিনে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, তাঁদের জ্বর নেই, তা নিশ্চিত হয়েই বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপসর্গহীন শ্রমিকেরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তাঁদের থেকে জেলায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে অনেকের মত। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘‘আইসিএমআরের বিধি মেনেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর কাজ করছে।’’