প্রতীকী ছবি
করোনায় আক্রান্ত এক মহিলা জন্ম দিলেন একটি কন্যাসন্তানের। শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে ওই শিশুটির জন্ম হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালেরই আইসোলেশন ওয়ার্ডে মহিলার চিকিত্সা চলছে। সদ্যোজাতকে তাঁর থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। মা করোনা পজ়িটিভ হওয়ায় শিশুটিরও লালারসের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনায় আক্রান্ত এই মহিলার বাড়ি আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের একটি গ্রামে। শনিবার তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে সরকারি ওই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতালের ট্রুন্যাট মেশিনে সঙ্গে সঙ্গে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই মহিলা করোনা পজ়িটিভ। এরপর তাঁকে ওই হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্তদের জন্য তৈরি পৃথক এক লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শনিবারই সেখানে সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে ওই মহিলার দেওর বাইরে থেকে জেলায় ফেরেন। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়। তাঁর লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। সেই রিপোর্টে করোনা পজ়িটিভ উল্লেখ করা হয়। তারপরই তাঁকে চিকিত্সার জন্য কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, দেওর করোনা পজ়িটিভ হওয়ার খবর জেনে ওই মহিলাকেও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। আর ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই ট্রুন্যাট মেশিনে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালের এক চিকিত্সক বলেন, প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই ওই মহিলা হাসপাতালে আসায় তাঁকে তপসিখাতার করোনা সারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো উপায় ছিল না।
এদিকে, মা করোনা পজ়িটিভ হওয়ায় জন্মের পরই তাঁর সন্তানকে নিয়েও আত্মীয়-পরিজনদের অনেকের মনে দুশ্চিন্তা দানা বাঁধে। তবে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, করোনা পজ়িটিভ হলেও ওই প্রসূতি মায়ের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। কিন্তু যেহেতু তিনি করোনা পজ়িটিভ তাই ওই শিশুটিকে তাঁর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। শিশুটিও ভালই রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “ট্রুন্যাট মেশিনে পরীক্ষায় মায়ের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ায়, শিশুটিরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।” সেইসঙ্গে মহিলার লালারসের নমুনা ফের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।