North Bengal Medical College and Hospital

তৈরি তো?

স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুজোর মুখে করোনা রোগীদের ভাইরাল লোড বা রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুজোর পরে হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে গেলে এই পরিকাঠামো দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হবে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের একাংশেরই।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫২
Share:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ির দু’টি কোভিড হাসপাতালে বর্তমানে সাকুল্যে ২৫টির মতো ভেন্টিলেটর রয়েছে। অভাব রয়েছে হাই স্পিড অক্সিজেন দেওয়ার সরঞ্জাম হাইপোন্যাজাল ক্যানুলা, বাইপ্যাপ-এর মতো সরঞ্জামেরও। অথচ করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য এগুলি জরুরি। কাওয়াখালি কোভিডে আইসিইউ-তে ২৮টি শয্যা রয়েছে, মাটিগাড়া কোভিডে আইসিইউ-তে আছে ২২টি শয্যা। বর্তমানে এগুলিতে বেশিরভাগ সময়ই রোগী পূর্ণ থাকছে। তাই ভেন্টিলেটর বা অন্যান্য সরঞ্জাম আরও দরকার বলেই চিকিৎসদের একাংশ মনে করছেন।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুজোর মুখে করোনা রোগীদের ভাইরাল লোড বা রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুজোর পরে হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে গেলে এই পরিকাঠামো দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হবে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের একাংশেরই। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কোভিড হাসপাতাল নয়। তবে প্রয়োজনে সেখানে রোগী রাখতে হচ্ছে। সেখানে ৫০টির মতো ভেন্টিলেটর রয়েছে। তবে হাইপোন্যাজাল ক্যানুলা, বাইপ্যাপের মতো সরঞ্জাম আরও দরকার বলে জানান কর্তৃপক্ষই।

মঙ্গলবার দলীয় কাজে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে এসেছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘পরিকাঠামোর দিক থেকে আমরা ভাল জায়গায় রয়েছি। তবে সামনে অনেকগুলি উৎসব রয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি সকলকে মেনে চলতে বলা হয়েছে। রাজ্যে সব মিলিয়ে আইসিইউ, এইচডিইউ-তে শয্যা ৬০০ বাড়ানো হচ্ছে।’’ আক্রান্তদের মধ্যে রোগের তীব্রতা আগের থেকে বেশি হয়েছে বলে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য। ফলে আগে উপসর্গহীন বা অল্প উপসর্গযুক্ত হলে রোগীকে সেফ হোম বা বাড়িতে নিভৃতবাসে রাখা যেত। এখন হাসপাতালে শয্যা দরকার হচ্ছে। শয্যা বাড়লে ভেন্টিলেটর, অন্য সরঞ্জামের সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীও বাড়ানো দরকার। তার উপর মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতাল সরকারি ভাবে পরিচালিত হলেও কাওয়াখালি কোভিডের দায়িত্ব সম্প্রতি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি ভাবে আইসিইউ নিয়ে ১০০টি শয্যা রেখে দেওয়া হয়েছে নিখরচায় পরিষেবা দিতে।

Advertisement

জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement