বেপরোয়া: স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের লাইনে দাঁড়িয়ে শহরবাসী। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর বোরো অফিসে। ছবি: বিনোদ দাস
করোনার সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন চার জনের মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। তার মধ্যে জলপাইগুড়ির এক চিকিৎসকও রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম মৃণালকান্তি আচার্য (৬৯)। বাড়ি জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন। মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ১০ দিনে বেশি তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এদিন তিনি মারা যান। তবে সম্প্রতি তিনি করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ৮৬ বছরের এক ব্যক্তি। বাড়ি শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকায়। ২৬ নভেম্বর তাঁকে এই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার রাতে কাওয়াখালি কোভিড হাসপাতালে মারা যান ৬৯ বছরের এক ব্যক্তি। ত্রিবেণী কোভিড হাসপাতাল থেকে তাঁকে ১ নভেম্বর এই কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এদিন বিকেলে মারা গিয়েছেন শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ের বাসিন্দা ৫০ বছরের এক মহিলা। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে রেসপিরেটরি ইটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছিল।
এদিন শিলিগুড়ি পুর এলাকায় নতুন করে ৭০ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩৩ জন। শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন ব্লক এবং দার্জিলিং জেলার পাহাড়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ে আক্রান্ত ৩৯ জন। তার মধ্যে মাটিগাড়া ব্লকে ১২ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে এদিন। নকশালবাড়িতে নতুন আক্রান্ত ৮ জন। ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ৪ জন। পাহাড়ে দার্জিলিং পুর এলাকায় নতুন করে ৫ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট মিলেছে। কার্শিয়াং পুর এলাকায় আক্রান্ত ৩ জন। মিরিতে ৩ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ মিলেছে। এদিন শিলিগুড়ির দুটি কোভিড হাসপাতাল এবং হোমআইসোলেশনে থাকা ৭৯ জন সুস্থ হওয়ায় তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এদিন করোনা সন্দেহে ১৮ জন ভর্তি রয়েছেন তিনটি আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।