প্রতীকী ছবি
শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ে করোনা আক্রান্ত বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভা এবং দার্জিলিং জেলা মিলিয়ে ১১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। উদ্বেগের বিষয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে। নতুন করে এক চিকিৎসককে নিয়ে আক্রান্ত হয়েছে আরও দু’জন।
এ দিন সোনাদার বাসিন্দা এক পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট মেলে। তাঁদের শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকায় দেবীডাঙাতেও বাড়ি রয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আক্রান্ত এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের আড়াই বছরের ছেলের শরীরে সংক্রমণ ঘটেছে। ২ জুন তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এলেও এ দিন বিষয়টি জানাজানি হয়।
সোনাদার বাসিন্দা ওই পরিবারের দুই মহিলা দিন কয়েক আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা সম্প্রতি মুম্বই থেকে ফেরেন। ওই দুই মহিলাকে নিয়ে চার জন মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। সব মিলিয়ে তাঁদের পরিবারের সাত জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের তেমন কোনও উপসর্গ নেই বলে জানানো হয়।
যদিও সম্প্রতি কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইফেকশন (সারি) কেন্দ্রে তাঁরা ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকেই লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এ দিন তাঁর রিপোর্ট আসে পজ়িটিভ।
জেলা প্রশাসন এ দিন পাহাড়ে নতুন করে আক্রান্তের তথ্য নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে পারেনি। দিনভর তা নিয়ে টানাপড়েন চলে। কখনও শোনা যায় কার্শিয়াঙের পাঁচ জন আক্রান্ত। কখনও শোনা যায় সুকিয়াপোখরিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন জন। দিনের শেষেও তা নিয়ে কোনও তথ্য মেলেনি জেলা
প্রশাসনের কাছে।
তবে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, চিকিৎসক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘৪ মে দার্জিলিং জেলায় ১০ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে।’’ তবে এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার অধীনে থাকা জলপাইগুড়ি জেলার ১৪টি ওয়ার্ডে আক্রান্তের হিসেব এর সঙ্গে যুক্ত নয়। সংযোজিত এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এ দিন ১ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। এ দিন দার্জিলিং জেলায় আক্রান্ত বাকি তিন জন কোন এলাকার বাসিন্দা সে বিষয়ে প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কোনও তথ্য মেলেনি।
জেলাশাসক এস পুন্নম বলম বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘সোনাদার পাঁচ জনের সংক্রমণ হয়েছে। এর বাইরে কারা আক্রান্ত দেখা হচ্ছে।’’ আক্রান্তদের সঠিক তখ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর বা জেলা প্রশাসনের কাছে না থাকায় তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজও ঠিক মতো হবে না বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।