অসতর্ক: সংক্রমণ বাড়লেও দূরত্ব না রেখেই ঘেঁষাঘেঁষি করে বাজার বসেছে বালুরঘাট হাইস্কুলের মাঠে। নিজস্ব চিত্র
বাকি ছিল হিলি ব্লক। বৃহস্পতিবার নতুন করে দক্ষিণ দিনাজপুরে আরও ৪ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে হিলি ব্লকের এক পরিযায়ী শ্রমিক যুক্ত হলেন। বাকি তিন আক্রান্তদের মধ্যে বালুরঘাট ব্লকের দু’জন এবং গঙ্গারামপুরের একজন আছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে এ দিন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রন্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪২ জন। তবে ওই মোট আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলা স্বাস্হ্য দফতরের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
গত ১৬ মে কুশমণ্ডিতে একসঙ্গে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হতেই গ্রিনজ়োন তকমা হারায় দক্ষিণ দিনাজপুর। এর পরে জেলার ৮টি ব্লকের মধ্যে তপন, কুমারগঞ্জ, কুশমণ্ডি, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট, হরিরামপুর ও বংশীহারি ব্লকে পর পর করোনা পজিটিভ হতে থাকলেও এত দিন হিলি ব্লক ছিল করোনা মুক্ত। এ দিন সেই তকমা হারাল হিলিও।
এ দিকে লালারস নমুনার ব্যাকলগ রিপোর্ট আসা শুরু হতেই রোজ জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা। সেই সঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হোম কোয়ারিন্টনে কাটানো অবস্থায় শ্রমিকদের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসছে। তবে আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠছেন।
এ দিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, ইতিমধ্যে আক্রান্তদের মধ্যে জেলায় ২১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এঁদের কয়েক জনকে বালুরঘাটের কোভিড হাসপাতাল থেকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন ৪ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে চাপানউতোর চলে। জেলায় মোট ৪২ জন আক্রান্তের পরিসংখ্যান থেকে মালদহ জেলার তিন জনকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেখাচ্ছে। সে কারণে তাদের তথ্য অনুযায়ী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ বলে স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশ করছে।
এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ জেলায় পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়া ওই তিন শ্রমিক, আদতে মালদহের বামনগোলা এলাকার বাসিন্দা। তাই হিসেব মতো দক্ষিণ দিনাজপুরে এ দিন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ জন হলেও এর মধ্যে মালদহের বাসিন্দা ওই ৩ জনকে মোট হিসেব থেকে বাদ রাখতে হবে।’’
মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফর অবশ্য ওই দাবি মানেনি। তাদের বক্তব্য দক্ষিণ দিনাজপুরের মোট আক্রন্তের সংখ্যর মধ্যেই ওই তিন জন থাকবে।