Coronavirus in West Bengal

রেফার নিয়ে নালিশ জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের

আলিপুরদুয়ার জেলার সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরার অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও বাসিন্দার মরণাপন্ন অবস্থা হলেই সেই রোগীকে ওই নার্সিংহোম থেকে তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও করোনা রোগীর মরণাপন্ন অবস্থা হলেই তাঁকে তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে খোদ স্বাস্থ্য দফতরে নালিশ জানালেন আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা।

Advertisement

গত দেড় মাসে এমন আটটি ঘটনার উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযোগ, মরণাপন্ন রোগীদের এ ভাবে পাঠিয়ে দেওয়ার ফলে তপসিখাতার হাসপাতালে একদিকে যেমন সিসিইউয়ে তাঁদের জায়গা দিতে সমস্যা হচ্ছে, তেমনি ওই রোগীদের বাঁচাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। সেইসঙ্গে সরকারি হিসেবে তপসিখাতার হাসপাতালে বেড়ে যাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

সরকারি ব্যবস্থায় আলিপুরদুয়ারে মূলত তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কোচবিহারেও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে, কিছু নার্সিংহোমেও চিকিৎসা হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার কথা ভেবে বাকি বিভিন্ন অসুখের মতো আলিপুরদুয়ার জেলার করোনা রোগীদের অনেকেই কোচবিহারের নার্সিংহোমে ভর্তি হন।

কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলার সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরার অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও বাসিন্দার মরণাপন্ন অবস্থা হলেই সেই রোগীকে ওই নার্সিংহোম থেকে তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সিএমওএইচের অভিযোগ, “এখনও পর্যন্ত এমন আটটি ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে। যার মধ্যে তিনটি ঘটনায় রোগীদের সরাসরি তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি ক্ষেত্রে বাড়ির লোকেদের বুঝিয়ে রোগীকে তপসিখাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সঙ্কটজনক কোনও রোগীকে রেফার করতে হলে আরও উন্নত হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে করা উচিত।”

আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযোগ, একে তো তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালের সিসিইউ-তে প্রয়োজনের তুলনায় বেড সংখ্যা কম। এই অবস্থায় কোচবিহারের নার্সিংহোম থেকে আসা মরণাপন্ন রোগীদের বেড দিতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি শেষ মুহূর্তে তাদের বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement