প্রতীকী ছবি
করোনা হানা আলিপুরদুয়ার শহরেও। আক্রান্ত হলেন পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা। সেইসঙ্গে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের আরও ২ জন আক্রান্ত। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২০।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫৮ বছরের ওই মহিলা গত ১৬ মে কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ারে ফেরেন। ফেরার পরই তাঁকে হোটেল কোয়রান্টিনে রাখা হয়। গত ২২ মে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে আক্রান্ত দু-জনই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা মহারাষ্ট্র থেকে ১৭ মে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছন। তাঁদেরও কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়। ২৩ মে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠান স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মহিলা-সহ এই তিনজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জেলায় পৌঁছয়। দেখা যায় তিনজনই করোনা পজ়িটিভ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনজনকেই তপসিখাতায় করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ৩০মে আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রথম চারজনের শরীরে একসঙ্গে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ওই চারজনই দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। পরে ধাপে ধাপে আরও ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আর এবার আক্রান্ত হলেন জেলার আরও তিনজন। যার মধ্যে একজন আলিপুরদুয়ার শহরের। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার শহরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই এতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিকে, ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যে করোনায় আক্রান্ত, বুধবার রাতে তা জানার পর বৃহস্পতিবার সারাদিনেও এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন না করায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত বলেন, “এলাকায় একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও সারাদিন সেই জায়গাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন করার কোনও তৎপরতা দেখা গেল না।”
যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সমস্ত ব্যবস্থা করে সঠিক সময়েই ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর প্রশাসনের এক কর্তা জানান, কতগুলো বাড়িতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে সেই সব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে রাতের মধ্যেই সেই এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন করে দেওয়া হবে।