প্রতীকী ছবি।
২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হলেন ১৪২ জন। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার পেরোল মালদহে। পাশাপাশি সুস্থ হয়ে এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন প্রায় আড়াই হাজার।
শুক্রবার রাতে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শক্তিগড় গ্রামে। ৬০ বছরের ওই রোগী কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় এবং রাতেই তিনি মারা যান। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যুর পরে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে।
গত কয়েক দিন ধরে মালদহে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার ৩৫ জন, মঙ্গলবার ৫৬, বুধবার ৭১, বৃহস্পতিবার ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে ফের জেলায় ১৪২ জনের পজ়িটিভ রিপোর্ট মেলে। তার মধ্যে ১২৬ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে মালদহ মেডিক্যালের ল্যাবে। ১৬ জনের পজ়িটিভ আসে অ্যান্টিজেন কিটে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ নিয়ে মালদহ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪ হাজার ৬ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলায় প্রথম এক হাজার জন আক্রান্ত হতে সময় লেগেছিল ৭৫ দিন, দ্বিতীয় হাজার হতে সময় নেয় ১৭ দিন, তৃতীয় হাজার হতে ১৩ দিন এবং পরের হাজার আক্রান্ত হতে সময় লাগল ১২ দিন।
এ দিকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু'দিন লকডাউনের পরে শনিবার সকাল থেকেই মালদহের বিভিন্ন বাজারে ভিড় উপচে পড়ে। এ দিন জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি মার্কেট, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেট, মকদুমপুর মার্কেট, ২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি বাজারে বিক্রেতাদের পাশাপাশি অনেক ক্রেতার মুখে মাস্ক ছিল না বলেও অভিযোগ। অটো বা ই-রিকশায় গাদাগাদি করে লোকেরা যাতায়াত করছেন। কিন্তু পুলিশকে সে ভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নমুনা সংগ্রহ বাড়ানো হয়েছে। ব্লকে ব্লকে অ্যান্টিজেন কিটে পরীক্ষাও করা হচ্ছে। ফলে সংক্রমণের সংখ্যা একটু বেশি হবেই। তবে, রাস্তাঘাটে বা বাজারে এত প্রচারের পরেও অনেকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানছেন না, মাস্ক পরছেন না। ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে।"