প্রতীকী ছবি
মালদহ জেলায় লালারসের নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কম হওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। তাদের অভিযোগ, নমুনা সংগ্রহ কম হলে লালারসের পরীক্ষাও কম হবে এবং তাতে সংক্রমনের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য দাবি, বিভিন্ন ব্লক হাসপাতালগুলিতে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতেন, তাঁদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কিছুটা কমে গিয়েছে।
এ দিকে সোমবার রাতে মালদহ জেলায় নতুন করে আরও ১৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্তদের মধ্যে ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা রয়েছেন সাত জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২০৮৮।
বুধবার রাজ্য সরকার ঘোষিত পূর্ণ লকডাউন। লকডাউন কার্যকর করতে বুধবার সকাল থেকে মালদহে রাস্তায় নামবে জেলা পুলিশ।
মালদহ জেলায় করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ পেরিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নতুন করে জেলায় আরও ১৫ জন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ইংরেজবাজার শহরের সাত জন, তিন জন চাঁচল ১ ব্লকের, দু'জন করে ইংরেজবাজার এবং বামনগোলা ব্লকের এবং এক জন হবিবপুরের বাসিন্দা।
যেখানে জেলায় প্রতি দিন গড়ে অন্তত ৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় মাত্র ১৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জেলাবাসীর একাংশের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে, জেলায় নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ একেবারেই কমে গিয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমর মিত্র বলেন, ‘‘বেশ কিছুদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে লালারসের নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ এই জেলায় কমে গিয়েছে। এর ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার যেখানে লালারসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলছে, সেখানে এই জেলায় কেন লালারসের নমুনা সংগ্রহ কমছে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ কম হলে অজান্তেই অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে ঘরে ঘরে বসে থাকবেন এবং তাতে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’
যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘বেশ কিছু ব্লকে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতেন তাঁদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ কিছুটা কমেছে। তবে বিকল্প স্বাস্থ্যকর্মীদের লালারস সংগ্রহে নামানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)