Coronavirus

করোনা ছড়াচ্ছেই, শীর্ষে উত্তর দিনাজপুর

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মালদহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৮।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৭:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্তদের পরিসংখ্যানে উত্তরবঙ্গে শীর্ষে পৌঁছল উত্তর দিনাজপুর।

Advertisement

উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর ছিল, শুক্রবার রাত পর্যন্ত জেলার ১৪৩ জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৪ জানানো হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত বাকি বাসিন্দারা কবে আক্রান্ত হলেন ও তাঁরা জেলার কোন এলাকার বাসিন্দা— সেই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মন্তব্য করতে চাননি।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে জেলার আরও আট বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বাড়ি ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। সকলেই মহারাষ্ট্র বা উত্তরপ্রদেশে শ্রমিকের কাজ করতেন।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মালদহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৮। উত্তরবঙ্গে তা-ই ছিল সর্বোচ্চ।

এ দিকে, ইটাহারে করোনা আক্রান্ত আট জনকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, করোনা আক্রান্ত ওই ৮ জনের লালারসের নমুনা ১০ দিন আগে সংগ্রহ করা হয়েছিল। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় ‘ব্যাকলগ’ থাকায় তাঁদের রিপোর্ট আসতে দেরি হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের দাবি, লালারস সংগ্রহের ১০ দিনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ওই ৮ জনের কোনও উপসর্গ না থাকায় আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে তাঁদের ১৪ দিন গৃহবাসে থাকতে বলা হয়েছে।

বাসিন্দাদের একাং‌শের অভিযোগ, দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ভিন্‌ রাজ্য থেকে জেলায় ফেরা শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষা করছে না। তাঁদের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে ফেরার পরে তাঁদের অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তখন তাঁদের লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার রিপোর্ট আসতে ১০ দিনের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে, ওই সময়ের মধ্যে তাঁদের থেকে এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালের বদলে বাড়িতে রাখা হচ্ছে। তাতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement