প্রতীকী ছবি।
কয়েক দিন আগে পর্যন্ত কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়তে দেওয়া যাবে না বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরে তিন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলতেই তাঁরাই এ বার ভিন্ রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের ‘কোয়রান্টিনে’ পাঠাতে শুরু করলেন। অভিযোগ, স্থানীয় স্কুলের গেটের তালা ভেঙে গ্রামে গ্রামে গৃহবাসে থাকা শ্রমিকদের সেখানে ঢুকিয়ে দিলেন বাসিন্দারা। রবিবার রাতে জেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুলে এমনই কাণ্ড ঘটেছে বলে প্রশাসনের কাছে খবর এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জেলার হরিরামপুর ব্লকের উত্তর মুশকিপুর জুনিয়র স্কুল, গঙ্গারামপুরের খরপা জুনিয়র স্কুল, কুশমণ্ডির দেওলবাড়ি জুনিয়র স্কুলের তালা ভাঙা হয়েছে। রাতের মধ্যেই প্রচুর শ্রমিককে সে সব স্কুলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলেও শ্রমিকদের রাখা হচ্ছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভিন্ রাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন। প্রশাসন তাঁদের গৃহবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, তা না মেনে অনেক শ্রমিকই অবাধে ঘুরছেন। এলাকার সবার সংস্পর্শে আসছেন। নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে বাসিন্দারাই শ্রমিকদের স্কুলে স্কুলে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
হরিরামপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অনেকেই বাড়িতে না থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের মাধ্যমে গোটা গ্রামে করোনা ছড়াতে পারে। তাই স্কুলে রেখেছি।" এ সবে উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। উত্তর মুশকিপুর স্কুলের টিচার ইন-চার্জ কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "বিষয়টি উপরমহলে জানিয়েছি।’’ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কোন কোন স্কুলে এ ভাবে তালা ভেঙে শ্রমিকদের রাখা হচ্ছে তার খোঁজ শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেই স্কুলগুলিকেই পাকাপাকি ভাবে কোয়রান্টিন সেন্টার হিসেবে রাখা যায় কিনা সেই ভাবনাও প্রশাসনের রয়েছে বলে খবর। ছবিটা এক কালিয়াগঞ্জেও। সেখানে শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, এতে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।