অস্বাস্থ্যকর: বহির্বিভাগে ওষুধ কাউন্টারের সামনে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
মালদহে পুজোর কেনাকাটা সবে জমতে শুরু করেছে। বাজারে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু পুজোর মুখে জেলায় ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন মালদহ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দফতর। পুজোর সময়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক থাকার কথা বললেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মণ্ডপে ভিড় হলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এবং তাতে আগামী দিনে করোনা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে বলেই তাঁদের অভিমত।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত পাঁচ দিনে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাঁড়িয়েছে। তাতে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, পুজোর কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুধু বাজারই নয়, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে এসে বা বহির্বিভাগের বাইরে ওষুধ নিতে লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাতে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বহির্বিভাগের বাইরে ওষুধ নিতে ভিড় উপচে পড়ে। অভিযোগ, অনেক রোগীর মুখেই মাস্ক ছিল না। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ববিধিও। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা সমস্ত রোগী ও তাঁদের পরিজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে মাইকে সব সময় সচেতন করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মাঝে মালদহ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কম ছিল। কিন্তু অক্টোবরের শুরু থেকেই ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৬ জন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই ১১৯ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। পুজোর মুখে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, "করোনা সংক্রমণ জেলায় যে ভাবে বাড়তে শুরু করেছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। সেই কারণে পুজোর সময় পুজো কমিটিগুলিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা করতে হবে।" জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, "যা পরিস্থিতি তাতে পুজোর সময় কোনও ভাবেই মণ্ডপে ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে আমরা সতর্ক করছি।"
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)