Coronavirus

‘কনটেনমেন্ট জ়োনে’ সমীক্ষায় নেই পিপিই, ভয়ে আশাকর্মীরা

‘কনটেনমেন্ট জোনের’ তিনটি গ্রামের মাত্র ১০০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মালদহের তিনটি ‘কনটেনমেন্ট জোন’ এলাকায় সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিয়ে আতঙ্কিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। অভিযোগ, ওই তিনটি জোনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালানো আশাকর্মীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ছাড়া সুরক্ষার আর কোনও উপকরণ নেই। নেই পিপিই। তাই তাঁদের আতঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে।

Advertisement

অভিযোগ উঠেছে, আতঙ্কের জেরে একটি কনটেনমেন্ট জোনের কাছাকাছি থাকা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বুধবার খোলাই হয়নি। ওই তিনটি ‘কনটেনমেন্ট জোন’ এলাকা থেকে যে দু'জন করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্তত ১০০ জনের লালারস পরীক্ষা করা হলেও, ওই তিনটি গ্রামের সব বাসিন্দার লালারস পরীক্ষা করা হবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দু’জনের সংস্পর্শে আসা যে সমস্ত মানুষের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছিল, তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

Advertisement

অন্য দিকে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৪৪ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব রিপোর্ট নেগেটিভ। এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট ১৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দু’টি পজেটিভ বাদে ১৭৭৩ জনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বুধবার ১০৩ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়।

‘কনটেনমেন্ট জোন’ এলাকায় আরও কোনও বাসিন্দার করোনা উপসর্গ রয়েছে কিনা তা খুঁজতে সমীক্ষা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। বিশেষ করে, আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং নজরদারি চালাচ্ছেন। কিন্তু আশাকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের সুরক্ষায় সে রকম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ছাড়া আর কিছুই সুরক্ষার জন্য তাঁরা পাননি। ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে তাঁরা পিপিই-র দাবি তুলেছেন।

যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকারি গাইডলাইন মেনে আশাকর্মীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। তাঁদের পিপিই কিট দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা নেই।’’

‘কনটেনমেন্ট জোনের’ তিনটি গ্রামের মাত্র ১০০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, ওই গ্রামগুলির সমস্ত বাসিন্দার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা উচিত। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement