Coronavirus

ছটের ভিড়ে কি সংক্রমণ বৃদ্ধি

এ দিন বিকেলে শিলিগুড়ি বিভিন্ন ঘাটে ভিড় উপচে পড়েছে। শনিবার ভোরে আরও ভিড় হবে বলেই পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ মত।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২০ ০৯:৪৪
Share:

ছটের ঘাটে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

একে একে বেশ কয়েকটি কঠিন বাধা পার হতে হয়েছে। প্রথমে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে পুজোর কেনাকাটার ভিড়। তার পরে নবমী ও দশমীর দিন হঠাৎ জনস্রোত। কিছু দিনের মধ্যে এল কালীপুজো। এ সব কাটিয়ে যখন সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে ফের পড়তির দিকে, তখনই ছটপুজো ঘিরে ভিড় নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। বিশেষ করে শুক্রবার শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে ছটপুজোর ঘাটে যে হারে ভিড় জমেছে এবং স্বাস্থ্যবিধি এড়ানোর প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

Advertisement

সোমবার বালুরঘাটে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক তথা ওএসডি সুশান্ত রায়। ফিরে এসে অন্য জেলাগুলির পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলবেন। জেলাগুলিতে আইএমএ-র চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সপ্তাহখানেক পর যে সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ছটপুজোর রীতি রয়েছে, সেখানে নমুনা সংগ্রহের কথাও জানানো হয়েছে। তা ছাড়া কালীপুজোর জেরে পরিস্থিতি ঠিক কোথায় রয়েছে, সেই তথ্যও বিভিন্ন জেলা সংগ্রহ করতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে ওএসডি’র দফতর।

ওএসডি বলেন, ‘‘মানুষকে বারবার সচেতন করা হচ্ছে। তার পরেও মানুষ সামাজিক দূরত্ব বিধি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, মাস্ক ছাড়া ছটপুজোয় ভিড় করছে তারা। তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপর চাপ বাড়ছে। মানুষ সচেতন না হলে বিপদ বাড়বেই।’’

Advertisement

এ দিন বিকেলে শিলিগুড়ি বিভিন্ন ঘাটে ভিড় উপচে পড়েছে। শনিবার ভোরে আরও ভিড় হবে বলেই পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ মত। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি ১৩৬টির মতো ঘাটে পুজো হয়। বিভিন্ন ঘাটের ছটপুজো কমিটিগুলিকে করোনা এবং ডেঙ্গি নিয়ে মাইকিং করে বাসিন্দাদের সচেতন করতে বলা হয়েছে। লিফলেটও দেওয়া হয়েছে বিলি করার জন্য।’’ যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সচেতনতা প্রচারে কোনও মাইকিং বা লিফলেট বিলি নজরে পরেনি। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও ঘাটে সচেতনতা প্রচার ছিল না। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ঘাটে সচেতনতা প্রচারে আমাদের কিছু রাখা হয়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দেখার কথা।’’

শিলিগুড়ি ফাইট করোনা এবং কোভিড কেয়ার নেট ওয়ার্কের তরফে চিকিৎসক কল্যাণ খান বলেন, ‘‘ঘাটে ভিড় হয়েছে। তবে বাজি খুবই কম ফেটেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement