অনুসন্ধান: করোনা পরীক্ষায় লালারসের নমুনা দিচ্ছেন অর্পিতা ঘোষ। মঙ্গলবার বালুরঘাটের প্রশাসনিক ভবনে। নিজস্ব চিত্র
জেলায় ফের করোনায় মৃত্যু।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের ওই যুবকের বাড়ি কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়িতে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে তিনি ভর্তি ছিলেন। ২৮ জুন তিনি মারা যান। ২৭ জুন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মোথাবাড়িরই আমলিতলা এলাকার ৫৫ বছরের এক করোনা আক্রান্ত বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল।
এ দিকে মালদহে আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার ৬২২ হল। সোমবার রাতে নতুন ৩১ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। জেলায় এত দ্রুত সংক্রমণ কী ভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সংক্রমণ রুখতে প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পদক্ষেপ করারও দাবি উঠেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আক্রান্তরা বেশিরভাগই উপসর্গহীন। তাঁদের বিভিন্ন সেফ হোম, জেলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক জন বাড়িতে রয়েছেন।’’
প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, আনলক-পর্বে জেলা সদরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের অসতর্কতার জেরেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও অনেকে বাজারে মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। লকডাউন বিধি না মানার ফল ভুগতে হচ্ছে।’’
মালদহে প্রথম সংক্রমণ হয়েছিল ২৬ এপ্রিল। বারাসত থেকে ফেরা মানিকচকের এক পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত হন। তার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ জুন মৃত ওই যুবকের বাড়ি মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট মহাদিপুর দেবীপুর গ্রামে। ২৮ বছরের এমএ পাশ ওই যুবক হৃদরোগী ছিলেন। তিনি কালিয়াচকের একটি ঘড়ির দোকানে কাজ করতেন। ২৬ জুন জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে তিনি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরের দিন তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। সে দিনই রাতে নমুনা পজ়িটিভ আসে। ২৮ জুন ভোরে তিনি মারা যান। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।