প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু চলছেই শিলিগুড়িতে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতে প্রধাননগরের দু’টি নার্সিংহোমে দুই জনের মৃত্যু হয়। রবিবার তাঁদের রিপোর্ট মেলে। তাঁদের মধ্যে একজন শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা, আর একজন শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া শালুগাড়া এলাকার। রবিবার শিলিগুড়ি শহরে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রবিবার উত্তরবঙ্গে একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩৭ জন।
এ দিন মৃতদের মধ্যে একজন শিলিগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কলেজপাড়ার বাসিন্দা, তিনি ৭৮ বছরের বৃদ্ধা। ওয়ার্ড কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্রাবের সংক্রমণ নিয়ে গত সোমবার কলেজপাড়ার একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তির জন্য নেওয়া হয়। শরীরে জ্বর থাকায় ওই নার্সিংহোমে ভর্তি নিতে চাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে জানানো হয় সেখানে শয্যা নেই। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেড়িক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় পরদিন রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করানো হয় তাঁকে। মঙ্গলবার লালারস পরীক্ষা করা হলে নেগেটিভ আসে। বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকেরা তাঁকে প্রধাননগরের নার্সিংহোমে নিয়ে যান। শুক্রবার ফের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। রবিবার লালারস পরীক্ষা রিপোর্ট এলে দেখা যায় তাঁর করোনার সংক্রমণ রয়েছে। এই নিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনার সংক্রমণ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হল।
আর এক ব্যক্তি শালুগাড়ার বিকাশনগরের বাসিন্দা। পরিচিতরা জানান, তিনি চম্পাসারি মোড় লাগোয়া এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের ম্যানেজার ছিলেন। পাম্পটি ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়ার। জ্বর নিয়ে ৬৭ বছরের ওই ব্যক্তিকে ৭ জুলাই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীও ওই নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। ওই পেট্রল পাম্পটি ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে। শহরেরর ওই ওয়ার্ডে সংক্রমণ সব থেকে বেশি এবং তা মারাত্মক আকার নিয়েছে। ওই ওয়ার্ডে থাকা পাম্পে কাজের সূত্রেই সংক্রমণ ঘটেছে বলে পরিচিতদের সন্দেহ।
শিলিগুড়িতে করোনা
আক্রান্ত: ৭০৮ || মৃত্যু: ২৯
এ দিন পাওয়া রিপোর্টে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় মোট ৩০ জন আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দা। বাকিরা দার্জিলিং জেলার অধীনে থাকা পুরসভার ওয়ার্ডগুলোয় থাকেন। শিলিগুড়ি পুর এলাকা বাদ দিলে দার্জিলিং জেলায় নতুন করে আক্রান্ত ১৩ জন রয়েছেন। শিলিগুড়ি শহরে রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি’র দফতরে দুই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ মিলেছে। পুরসভার এক স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরেও সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে।