ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার কেন্দ্র দ্রুত তৈরি করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। কেন না, এ ধরনের ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য যে পরিকাঠামো যুক্ত ল্যাবরেটরি দরকার, তা গড়তে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। সম্পূর্ণ নতুন ভাবে এ ধরনের ল্যাবরেটরি গড়া তাই সময়সাপেক্ষ। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক চিঠিতে পাহাড়ে নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়িতে বৈঠক হয়েছে। জিটিএ কর্তৃপক্ষও চাইছেন, পাহাড়ে এ ধরনের পরীক্ষাকেন্দ্র দ্রুত গড়ে উঠুক।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা মানছেন, পাহাড় থেকে লালারসের নমুনা শিলিগুড়িতে এনে পরীক্ষা করাতে সমস্যা রয়েছে। এক দিকে পাহাড় থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আনা, অন্য দিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে নমুনা সংরক্ষণ, দুই ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বুধবার লালকুঠিতে জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায়। সেখানেও জিটিএ-র তরফে পাহাড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরির বিষয়টি তোলা হয়। এই নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে উদ্যোগী, জানিয়েছেন অনীত থাপারা। ইতিমধ্যে পাহাড়ে কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জিটিএ কর্তৃপক্ষ জানান, তার সঙ্গে নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হলে রোগ মোকাবিলায় পাহাড়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি পাহাড়ের সমস্যার বিষয় সব সময়ই বাড়তি গুরুত্ব দেন। তাই প্রয়োজনে পাহাড়ে এ ধরনের পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলতে তাঁর সঙ্গে কথা বলব।’’ করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। তবে এ ধরনের পরিকাঠামো চটজলদি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে।’’ তা ছাড়া পরিকাঠামো যথোচিত হলে তবেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর অনুমোদন মিলবে।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে পরিদর্শনে এসে পাহাড়ের এলাকাগুলোর জন্য সেখানে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরির উপর জোর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন না শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা একদিকে সময় সাপেক্ষ। অন্য দিকে, নমুনা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাতে সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তা খুঁজতে দেরি হয়। আবার আক্রান্ত রোগীর জীবন সঙ্কটের মুখে দাঁড়ায়। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব যে চিঠি পাঠিয়েছে তাতেও পাহাড়ে এ ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি রয়েছে।