প্রতীকী ছবি
‘লকডাউন’ ঘিরে রবিবার বিকেল থেকে গৌড়বঙ্গের মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলায় প্রশাসনিক তৎপরতা চলল। সন্ধে নাগাদ তিন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরাই এ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন। পুরসভা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়। বৈঠকের পরে শুরু হয় মাইকিং। কোথাও পুলিশ, কোথাও পুরসভা, আবার কোথাও প্রশাসনের তরফে ‘লকডাউন’ নিয়ে মাইকিং করা হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৫টার পর থেকে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর জেলা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরে লকডাউন হবে। ২৭ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। ওই সময়ে কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, সাত জন বা তার বেশি লোক একসঙ্গে এক জায়গায় জমায়েত হতে পারবেন না।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। সেই কারণে রসদ নিতে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় করবেন তিন জেলার বাসিন্দারা। এ ক্ষেত্রে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে কালোবাজারির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, বাজারে নজরদারি চালাবে পুলিশের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ ও পুরসভা।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, লকডাউনে বন্ধ থাকবে গণ-পরিবহণ। তবে মাছ, মাংস, দুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকবে। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "সোমবার থেকে জেলা জুড়ে লকডাউন হবে। সে জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হবে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে যেন বের না হন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এই বিষয়ে রবিবার আমরা মাইকিং করেছি।’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে লকডাউন শুধু মাত্র বালুরঘাট শহরে। রবিবার সন্ধ্যায় পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে এ বিষয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল। তিনি জানান, বালুরঘাট শহরে ঢোকার মুখে তিন জায়গায় বাসস্টপ করা হয়েছে। একটি রঘুনাথপুর এলাকার বিএম হাইস্কুলের কাছে, দ্বিতীয়টি হিলির দিকে মঙ্গলপুর বিএড কলেজের কাছে এবং তৃতীয়টি চকভৃগু এলাকায়। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে যাত্রিবাস এবং পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি ওই তিনটি পয়েন্ট থেকে যাতায়াত করবে। শহরের মধ্যে বাস, ট্রাক ও টোটো চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে রায়গঞ্জ শহরজুড়ে লকডাউন নিয়ে মাইকে প্রচার করে পুরসভা। উত্তর দিনাজপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রানা দেবদাস জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি নির্দেশে উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়েলকডাউন থাকবে।’’