Cokking gas Connection

বাড়ি-বাড়ি পাইপে রান্নার গ্যাস সংযোগের কাজ শুরু

বুধবার কোচবিহার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে গ্যাসের সংযোগের প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৮
Share:

কোচবিহারের পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে উদ্বোধন হল ‘গ্রিন গ্যাসের’। বুধবার কোচবিহারের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। —নিজস্ব চিত্র।

বাড়ি-বাড়ি পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সরররাহের তোড়জোড় শুরু হয়েছে কোচবিহার শহরে। ওই ব্যাপারে একটি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই কোচবিহার পুরসভার ১০৪ কিলোমিটার এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। সংযোগ সরবরাহের কাজ এগিয়ে রাখতে এলাকাভিত্তিক আগ্রহীদের আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় সাত হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক হাজার বাড়িতে সংযোগের জন্য দ্রুত বন্দোবস্ত করতে লাইন তৈরির পরিকাঠামো হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে বাড়ি বাড়ি সংযোগ চালুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনো হচ্ছে। কোচবিহারের ১০টি পেট্রল পাম্পে প্রাকৃতিক গ্যাসের স্টেশনও করা হচ্ছে।

Advertisement

বুধবার কোচবিহার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে গ্যাসের সংযোগের প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। সরবরাহকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইন বসিয়ে ২৫ হাজার বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পাইপ লাইন বসানোর জন্য কোচবিহার পুরসভার কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে ‘সিকিউরিটি ডিপোজ়িট’ জমা দেওয়া-সহ অন্য প্রক্রিয়াও এগিয়েছে। শহরে প্রথম পর্যায়ে অন্তত ১০ হাজার বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার আশা করা হচ্ছে।

এ দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের’ কোচবিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বিধান শিকদার বলেন, “সিলিন্ডারের বদলে বাড়িতে জলের পাইপ লাইনের মতো রান্নার গ্যাসের পাইপ লাইন যাবে।

Advertisement

হোটেল, শিল্প ক্ষেত্রেও পাইপ লাইনে সংযোগ যাবে। বাড়িতে সংযোগের প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে।” কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এক বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার বাড়িতে সংযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি ধাপে কোচবিহার শহরের সব বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে। তার পরেও ধারাবাহিক ভাবে ওই কাজ চলবে। ওই ব্যবস্থা চালু হলে আধুনিক শহর হিসেবে নতুন পালক যুক্ত হবে। সিলিন্ডার আনার ঝক্কি থাকবে না। এতে খরচও কম পড়বে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement