কোচবিহার প্রাসাদ। নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার শহরের আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। সেখানকার রাজ আমলের প্রাচীন নিদর্শনগুলি এখনও আকর্ষণ করে পর্যটকদের। কিছুদিন আগেই এই শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তারপরই কোচবিহারকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে ৪০টি হেরিটেজ নিদর্শনের সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।
কোচবিহার রাজার শহর। বর্তমানে রাজা না থাকলেও রয়েছে রাজ আমলের বহু ঐতিহ্য। মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এই শহরকে হেরিটেজ সিটি বানানোর কথা বলেছেন। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই শহরকে সাজিয়ে তোলার কাজ। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির, পাওয়ার হাউস, ভিক্টর প্যালেস, সাগরদিঘি, কোচবিহার পুরনো রেলওয়ে স্টেশন-সহ মোট ৪০টি হেরিটেজ নিদর্শনকে প্রাথমিক ভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোচবিহার শহরের তিনটি প্রবেশপথে তিনটি ‘ওয়েলকাম গেট’ তৈরি করা হবে। খাগড়াবাড়ি চৌপতি, বাবুরহাট এবং ঘুঘুমারি এলাকায় করা হবে গেটগুলি।
কোচবিহার পুরসভার পৌর প্রশাসক ভূষণ সিংহ বলেছেন, ‘‘হেরিটেজ বিভাগে যারা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে ৪০টি হেরিটেজ নিদর্শন সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এ ছাড়াও শহরের সমস্ত নর্দমাগুলি সংস্কার করা হবে। এবং ঢেকে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রকল্প তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো পূর্ত দফতরের মাধ্যমে কাজগুলি শুরু করা হবে।