ফাইল চিত্র।
কিছুদিন সব চুপচাপ ছিল। দলের সংগঠন বাড়ানোর কাজে মন দিয়েছিলেন দু'জনেই। রাজনৈতিক কর্মসূচির গতি বাড়তেই ফের যেন সম্মুখসমরে নেমে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায়।
রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে তাঁকে রাজ্য সহ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর পার্থপ্রতিম সদ্য তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে এঁরা ‘কাকা-ভাইপো’ নামেই পরিচিত।
রবীন্দ্রনাথ স্পষ্টতই অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর বিধানসভা এলাকায় নানা কর্মসূচির কথা তিনি জানতে পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিধানসভা এলাকায় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের নামে একটি সংবর্ধনা সভা করা হয়। সেই সভা নিয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। ওই সভায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় পার্থপ্রতিমকে।
রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিধানসভা এলাকায় কর্মসূচি থাকলে তা বিধায়ককে জানাতে হবে। আমি জেলা সভাপতি থাকার সময়ে তা মেনেই চলেছি। এখন আমার এলাকার কর্মসূচি নিয়ে আমাকে জানানো হচ্ছে না।’’ তিনি আইপ্যাকের সভাতেও তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রবীণ নেতা। তাঁদের পরামর্শ মেনেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। যদি কোথাও কোনও অসুবিধে হয়, তা আলোচনা করব।’’
রবীন্দ্রনাথ নাটাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক। ওই বিধানসভার জিরাণপুর এলাকায় পার্থপ্রতিমের বাড়ি। রবীন্দ্রনাথ অনুগামীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় পার্থপ্রতিম আলাদা ভাবে কর্মসূচি নিচ্ছেন। সেই বিষয়ে বিধায়ককে জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। জিরাণপুর এলাকায় আলাদা আলাদা ভাবে দু’টি গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, পার্থপ্রতিম আলাদা গোষ্ঠী তৈরির চেষ্টা করছেন। পার্থপ্রতিমের অনুগামীদের দাবি, বিধায়ককে জানিয়েই ওই এলাকায় কর্মসূচি হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ তা মেনে নিতে চাইছেন না।
দলের আর এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘‘দ্রুত ওই দুই নেতার বিরোধ কমাতে রাজ্য নেতৃত্বের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’